আরবী তারিখঃ এখন ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় বিকাল ৩:০৯ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

এখন মানুষের দোষ বেশি; কিন্তু আপনার আমার করনীয় কি?

ফকিহুল মিল্লাত আল্লামা মুফতি আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতেন ,আগের যুগে মানুষের গুণ বেশি ছিল, দোষ কম ছিল। তখন দোষ-গুণ উভয়টি দেখা হতো। এখন বর্তমান যুগে মানুষের দোষ বেশি। গুণ কম। এখন মানুষের দোষ দেখিও না। যার মধ্যে যে গুণ বিদ্যমান আছে, তা থেকে উপকৃত হতে চেষ্টা করবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কারো দোষ দেখে গোপন করবে সে ওই ব্যক্তির মতো সাওয়াব পাবে, যে কোনো জীবিত কবরস্থ ব্যক্তিকে জিন্দা করল (উদ্ধার করে প্রাণ রক্ষা করলো)।

আরেক হাদীসে আছে যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কারো দোষ ত্রুটি গোপন রাখবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তার দোষ ত্রুটি গোপন রাখবেন।

এক মাদ্রাসার মুহতামিম সাহেবের ব্যাপারে একটি বিষয়ে অবগত হয়ে খুব খুশি হলাম। তিনি তাঁর মাদ্রাসায় নিয়ম করে দিয়েছেন, কোন ওস্তাদ এবং তালেবে ইলম অন্য ওস্তাদ বা তালিবেইলমের মধ্যে কী গুণ লক্ষ্য করেছে প্রতিদিন তা বলতে হবে। বলতে হবে আজকে আমি অমুক ওস্তাদ বা তালিবেইলমের মধ্যে এই গুণটি লক্ষ্য করেছি। প্রতিদিন কারো না কারো একটি গুণ খুঁজে বের করতে হবে। জানতে পারলাম এতে ওই মাদ্রাসার ওস্তাদ তালেবেইলমদের মধ্যে গীবত এবং সমালোচনা প্রায় বিদায় নিয়েছে। বিরাজ করছে জান্নাতি সুন্দর পরিবেশ।

মনে মনে দোয়া করলাম ওই মুহতামিম সাহেব এবং ওই মাদ্রাসার সকল ওস্তাদ তালবেইলমদের জন্য।

আসুন আমরা মানুষের দোষ ত্রুটি চর্চা ত্যাগ করি। গুণ চর্চা শুরু করি। মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। গীবত আর সমালোচনায় ভরপুর হয়ে গেছে মাদ্রাসা, মসজিদ এবং সারা দেশের পরিবেশ। কারো না কারো না হলে কমপক্ষে সরকারের বিভিন্ন কাজের অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা আর গীবত তো চলছেই হরদম। পুরো পরিবেশ আজ গীবত আর দোষ চর্চার বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হয়ে গেছে।

মনে রাখতে হবে কিয়ামতের দিন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের যেমন জুলুমের বিচার হবে তদ্রুপ আমি গীবত করে থাকলে আমাকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

আল্লাহ তা’আলা সবাইকে হিফাজত করুন‌।

Loading