আরবী তারিখঃ এখন ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ শনিবার, সময় সকাল ৬:১৭ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

এক নজরে নামাজ পড়ার পূর্ণাঙ্গ নিয়ম, -মাওলানা ইসমাইল সিরাজী দা. বা.

نحمده و نصلي علي رسوله الكريم اما بعد

প্রথমে কিবলামুখী সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে মাথাকে ঝুকানো যাবে না এবং সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা, দুই পায়ের মাঝখানে কমপক্ষে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে, সাথে সাথে পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলার দিকে রাখা৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়া অবস্থায় মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথে হওয়া, একাকী নামাজ পড়া অবস্থায় নিজে নিজে তাকবীরে তাহরীমা পড়া৷ তাকবীরে তাহরীমা (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো৷ হাত উঠানোর সময় হাতের তালুদ্বয় কেবলার দিকে রাখা ও উভয় হাতের আঙ্গুল সমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা৷

ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা ও বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠাঙ্গুল দ্বারা কব্জি ভালোভাবে ধরা, ডান হাতের মাঝখানের তিন আঙ্গুলকে বাম হাতের কব্জির উপরের দিকে রাখা ও নাভির নিচে হাত বাধা৷ এরপর সানা (سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَاليٰ جَدُّكَ وَ لَا إِلٰهَ غَيْرُكْ সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রা কাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গইরুক) পড়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পরলে রুকু পর্যন্ত আর কোন কিছু পড়তে হবেনা না, একাকী নামাজ পড়লে পূর্ণ (أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ আয়ু-যুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্ব-নির রজি-ম) পড়া ও পূর্ণ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহি-ম) পড়া৷ এরপর পূর্ণ সুরা ফাতিহা (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ, الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ, اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ, صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ-লামি-ন, আর রহমা-নির রাহি-ম, মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন, ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন, ইহদিনাস সিরাত্বাল মুসতাকি’-ম, সিরাত্বল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম, গইরিল মাগযু-বি আ’লাইহিম ওয়ালায্য-ল্লি-ন) পড়ার পর অতি নিঃশব্দে আমিন পড়া৷

ফজর ও যোহরের ফরয নামাজে তেওয়ালে মুফাসসাল অর্থাৎ সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত, আসর ও ইশার ফরজ নামাযে আওসাতে মুফাসসাল অর্থাৎ সূরা বুরুজ থেকে সূরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত এবং মাগরিবের ফরয নামাজে কিসারে মুফাসসাল অর্থাৎ সূরা যিলযাল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত সূরা সমূহ পড়া৷ নির্দিষ্ট এ সূরা সমূহ না জানা থাকলে সূরা ফাতিহার পর কুরআন শরিফের যে কোন স্থান থেকে ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করলে নামাজ হয়ে যাবে৷ সূরা ফাতিহার পর অন্য যে কোন সূরা বা আয়াত যেমন প্রথম রাকাতে সূরা কাওসার (إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ, فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ, إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلْأَبْتَرُ ইন্না-আ‘ত্বইনা-কাল কাওছার, ফাসল্লি লিরাব্বিকা ওয়ানহার, ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার) দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস (قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ, اللَّـهُ الصَّمَدُ, لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ, وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ‌কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্, আল্লা-হুছ ছমাদ্, লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়ালাম্ ইয়ূলাদ্, ওয়ালাম্ ইয়া কুল্লাহূ- কুফুওয়ান্ আহাদ্) তৃতীয় রাকাতে সূরা ফালাক (قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ, مِن شَرِّ مَا خَلَقَ, وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ, وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّـٰثَـٰتِ فِى ٱلۡعُقَدِ, وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ কুল্ আয়ু-যুবি রব্বিল ফালাক, মিং শার্রি মা- খলাক্ব, ওয়ামিং শার্রি গ-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বব, ওয়া মিং শার্রিন নাফ্‌ফা-সা-তি ফিল্‌ উক্বদ, ওয়ামিং শার্রি হা-সিদিন ইযা হাসাদ্) ও চতুর্থ রাকাতে সূরা নাস (قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ, مَلِكِ النَّاسِ, إِلَهِ النَّاسِ, مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ, الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ, مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ কুল আয়ু-যুবি রব্বিন্না-স, মালিকিন্না-স, ইলা-হিন্না-স, মিং শার্রিল ওয়াস্ ওয়া-সিল খন্না-স, আল্লাযি- ইওয়াসউয়িসু ফি- সুদু-রিন্না-স, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স) মিলিয়ে পড়ার আগে পূর্ণ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রহি-ম) পড়া৷

ফজরের নামাজের প্রথম রাকাতকে দ্বিতীয় রাকাতের চেয়ে লম্বা করা৷ নামাজে তিলাওয়াত স্বাভাবিক গতিতে করা, না খুব দ্রুত গতিতে পড়া, না খুব ধীরগতিতে পড়া বরং স্বাভাবিক ভাবে তিলাওয়াত করা৷ ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সুরা ফাতিহা পড়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে রুকুতে যাওয়া, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে রুকুতে যাওয়া, এরপর উভয় হাত দ্বারা হাঁটুকে শক্ত ভাবে ধরা৷ উভয় হাতের সকল আঙ্গুল পরিপূর্ণ ফাঁকা রেখা ও উভয় পা সোজা রাখা৷ পিঠকে বিছিয়ে দেয়া৷ মাথা এবং নিতম্ব সোজা এবং সমান রাখা ও রুকুতে কমপক্ষে তিনবার (সুবহা-না রব্বিয়াল আযি-ম سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمْ) পড়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়লে রুকু থেকে উঠতে ইমামের (সামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهْ) পড়া মুক্তাদির (রব্বানা-লাকাল হাম্‌‌দ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدْ) পড়া এবং একাকী নামাজ পড়ার সময় মুনফারিদ ব্যক্তি উভয়টি পড়া৷

ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদায় যাওয়া, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদায় যাওয়া, সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে উভয় হাটু মাটিতে রাখা৷ এরপর উভয় হাত রাখা৷ এরপর নাক রাখা৷ এরপর কপাল রাখা৷ উভয় হাতের মাঝখানে সিজদা করা৷ সিজদায় পেটকে উড়়ু থেকে পৃথক রাখা৷ হাতকে বগল থেকে পৃথক রাখা৷ উভয় হাতের কনুইকে জমিন থেকে পৃথক রাখা৷ সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিনবার (সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা- سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْليٰ) পড়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদা থেকে উঠা, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদা থেকে উঠা৷ সিজদা থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর হাত, তারপর হাঁটুকে উঠানো এবং দুই সিজদার মাঝখানে আত্মতৃপ্তির সাথে বসা৷  প্রথম সিজদার মতই দ্বিতীয় আরেকটি সিজদা করা, ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদায় যাওয়া, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদায় যাওয়া এভাবে যে, প্রথমে উভয় হাত রাখা৷ এরপর নাক রাখা৷ এরপর কপাল রাখা৷ উভয় হাতের মাঝখানে সিজদা করা৷

সিজদায় পেটকে উড়়ু থেকে পৃথক রাখা৷ হাতকে বগল থেকে পৃথক রাখা৷ উভয় হাতের কনুইকে জমিন থেকে পৃথক রাখা৷ সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিনবার (সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা- سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْليٰ) পড়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদা থেকে উঠা, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে সিজদা থেকে উঠা৷ সিজদা থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর হাত, তারপর হাঁটুকে উঠানো এবং সোজা দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া৷ ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে দাড়িয়ে যাওয়া, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে দাড়়িয়ে যাওয়া৷ এরপর প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাতেও দ্বিতীয় সিজদা শেষ করে বসে যাওয়া৷  তবে একাকী নামাজ পরলে প্রথম রাকাতের মত দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পূর্বে শুধুমাত্র বিসমিল্লাহ পূর্ণ পড়তে হবে৷ আর ইমামের সাথে নামাজ পড়লে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, কিছুই পড়ার প্রয়োজন নেই৷

দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা শেষ করে দুই রাকাত নামাজ হলে শেষ বৈঠক করবে, বৈঠকে ডান পাকে খাড়া রাখা, বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ যতদূর সম্ভব কেবলার দিকে রাখা৷ উভয় হাত উরুর ওপর রাখা৷ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ (اَلتَّحِيَّاتُ لِلهِ وَالصَّلَوَاةُ وَالطَّيِّبَاتُ اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه‘ اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّا لِحِيْنَ، اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللّٰهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً عَبْدُه‘ وَرَسَوْلُه আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লাহি, ওয়াস সলাওয়া-তু, ওয়াত্তায়্যিবা-তু, আস্সালা-মু আলাইকা, আইয়ুহান্নাবিয়্যু, ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ, আস্সালামু আলাইনা- ওয়ালা ইবা-দিল্লাহিস সলিহীন, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু- ওয়া রসূ-লুহু) পড়বে তাশাহুদ এর মধ্যে (اَشْهَدُ اَن لَّا اِلٰهَ আশহাদু আল্লা-ইলা-হা) বলার সময় শাহাদত আঙ্গুলিকে ওঠানো এবং (اِلَّا اللّٰه ইল্লাল্লা-হ) বলার সময় আঙ্গুলিকে ঝুকানো৷ এরপর দরুদ শরীফ (اَللَٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّ عَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰي اِبْرَا هِيْمَ وَ عَلٰى اٰلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وّ‌َ عَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌٌ আল্লা-হুম্মা সল্লি আলা- মুহাম্মাদ্, ওয়াআলা- আ-লি মুম্মাদ্, কামা- সল্লাইতা আলা- ইব্রাহি-ম, ওয়ালা- আ-লি ইব্রাহি-ম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজি-দ, আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা- মুহাম্মাদ্, ওয়ালা- আ-লি মুহাম্মাদ্, কামা বা-রকতা আলা- ইব্রাহি-ম, ওয়ালা- আ-লি ইব্রাহি-ম, ইন্নাকা হামি-দুম্মাজিদ) পাঠ করা, দরুদ শরীফ পাঠ করার পর দুআয়ে মাসুরা (اَللّٰهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْم আল্লা-হুম্মা ইন্নি- যলামতু নাফসি- যুল্‌‌মাং কাসিরা-, ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনু-বা ইল্লা-আংতা, ফাগফিরলি- মাগফিরাতাম্মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি-, ইন্নাকা আংতাল গফুরুর রাহি-ম) পড়া৷

এরপর দুই দিকে সালাম ফিরানো৷ সালামকে ডান দিক থেকে শুরু করা৷ ইমাম সালাম ফিরানোর সময় সকল ফেরেশতা এবং ভালো জ্বীন্নাত এবং ডান ও বাম পাশের মুক্তাদীদের নিয়ত করবে৷ মুক্তাদী সালাম ফিরানোর সময় নিজ ইমাম, ফেরেশতা এবং ভাল জিন্নাত এবং ডান বামের মুক্তাদীদের নিয়ত করবে৷ মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাদের নিয়ত করবে৷ মুক্তাদী ইমাম সালাম ফেরানোর সাথে সাথে সালাম ফিরাবে৷ প্রথম সালামের তুলনায় দ্বিতীয় সালামের স্বর ছোট করবে৷ মাসবুক ব্যক্তি নিজ নামাজ পুরো করার জন্য ইমাম সাহেবের নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করবে৷ দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা শেষ করে চার রাকাত নামাজ হলে প্রথম বৈঠক করবে বৈঠকে ডান পাকে খাড়া রাখা, বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ যতদূর সম্ভব কেবলার দিকে রাখা৷ উভয় হাত উরুর ওপর রাখা৷  প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহুদ (اَلتَّحِيَّاتُ لِلهِ وَالصَّلَوَاةُ وَالطَّيِّبَاتُ اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه‘ اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّا لِحِيْنَ، اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللّٰهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً عَبْدُه‘ وَرَسَوْلُه আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লাহি, ওয়াস সলাওয়া-তু, ওয়াত্তায়্যিবা-তু, আস্সালা-মু আলাইকা, আইয়ুহান্নাবিয়্যু, ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ, আস্সালামু আলাইনা- ওয়ালা ইবা-দিল্লাহিস সলিহীন, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু- ওয়া রসূ-লুহু) পড়বে তাশাহুদ এর মধ্যে (اَشْهَدُ اَن لَّا اِلٰهَ আশহাদু আল্লা-ইলা-হা) বলার সময় শাহাদত আঙ্গুলিকে ওঠানো এবং (اِلَّا اللّٰه ইল্লাল্লা-হ) বলার সময় আঙ্গুলিকে ঝুকানো৷ তাশাহুদের পর ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমামের সাথে সাথে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে তৃতীয় রাকাতের জন্য সোজা দাড়িয়ে যাওয়া, আর একাকী নামাজ পড়লে নিজে (اَللّٰهُ اَكْبَرْ  আল্লা-হু আকবার) তাকবীর বলতে বলতে দাড়়িয়ে যাওয়া৷  এরপর প্রথম দুই রাকাত এর মত তৃতীয়-চতুর্থ রাকাত শেষ করে শেষ বৈঠক করা৷ শেষ বৈঠকে দরুদ শরীফ পাঠ করা, দরুদ শরীফ পাঠ করার পর দুআয়ে মাসুরা পড়া৷

এরপর দুই দিকে সালাম ফিরানো৷ সালামকে ডান দিক থেকে শুরু করা৷ ইমাম সালাম ফিরানোর সময় সকল ফেরেশতা এবং ভালো জ্বীন্নাত এবং ডান ও বাম পাশের মুক্তাদীদের নিয়ত করবে৷ মুক্তাদী সালাম ফিরানোর সময় নিজ ইমাম, ফেরেশতা এবং ভাল জিন্নাত এবং ডান বামের মুক্তাদীদের নিয়ত করবে৷ মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাদের নিয়ত করবে৷ মুক্তাদী ইমাম সালাম ফেরানোর সাথে সাথে সালাম ফিরাবে৷  প্রথম সালামের তুলনায় দ্বিতীয় সালামের স্বর ছোট করবে৷ মাসবুক ব্যক্তি নিজ নামাজ পুরো করার জন্য ইমাম সাহেবের নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করবে৷

বিঃদ্রঃ রুকুর মধ্যে হাঁটু ধরার সময় হাতের আঙ্গুল গুলো পরিপূর্ণ ফাঁকা রাখা সুন্নত, সিজদার মধ্যে হাতের আঙ্গুলগুলো পরিপূর্ণ মিলিয়ে রাখা সুন্নত, ফাকা রাখা যাবে না৷ এছাড়া নামাজের অন্যান্য সকল অংশে হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে,  উপরক্ত বর্ণনাতে যত জায়গায় “-” চিহ্ন রয়েছে, সব জায়গায় এক আলিফ পরিমাণ টানতে হবে, তবে অবশ্যই একজন ভালো ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে সুরা, কিরাআত ও দুআ সমূহ শুদ্ধ করে নিতে হবে৷


وما علينا الا البلاغ واخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين والسلام عليكم ورحمه الله وبركاته

Loading