আরবী তারিখঃ এখন ৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ১৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ মঙ্গলবার, সময় সকাল ১১:০৪ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

আযান ও ইকামতের সুন্নত সমূহ

আযানের সুন্নত ৮টি

১. পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া। দেখুনঃ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ১৭৯৯
২. কিবলামুখী হয়ে আযান দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে কিবলামুখী করে রাখা। দেখুনঃ আবু দাউ শরীফঃ ৫০৭, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ১৮০২
৩. প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা, অতঃপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা। দেখুনঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহঃ ২৩৭
তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা অর্থাৎ اَللّٰهُ اَكْبَرُ اللّٰهُ اَكْبَرْ এভাবে না বলা তবে اَللّٰهُ اَكْبَرَ اللّٰهُ اَكْبَرْ বলা যাবে। অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা, শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা, সর্বশেষে لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهْ বলে আযান শেষ করা।
দেখুনঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহঃ ২৩৭৭, নাসায়ী শরীফঃ ৬৫২
উল্লেখ্য, এক এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়, অর্থাৎ শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জওয়াব দিতে পারেন। দেখুনঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহঃ ২২৩৪
৪. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর حَيَّ عَلَي الصَّلٰوة বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফিরানোর পর حَيَّ عَلَي الْفَلَاح বলা। কিন্তু বুক ও পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না। দেখুনঃ বুখারী শরীফঃ ৬৩৪
৫. আযান শ্রবণের সাথে সাথে শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া। দেখুনঃ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ১৮৪৯
৬. আযানের জওয়াব দেয়া সুন্নত। মুআজ্জিনের আযানের বাক্যগুলো হুবহু বলা, তবে حَيَّ عَلَي الصَّلٰوة এবং حَيَّ عَلَي الْفَلَاح এর জওয়াবে لَا حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ বলা। আর ফজরের আযানে اَلصَّلٰوةُ خَيْرٌمِّنَ النَّوْمِ এর জওয়াবে صَدَقْتَ وَ بَرَرْتَ বলা।
দেখুনঃ বুখারী শরীফঃ ৬১১-৬১৩, মুসলিম শরীফঃ ৩৮৫
৭. আযান শেষে দরূদ শরীফ পড়া। দেখুনঃ মুসলিম শরীফঃ ৩৮৪
৮. অতঃপর اللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلٰوةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدتَهٗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ দুআটি পড়া। দেখুনঃ বুখারী শরীফঃ ৬১৪, ৪৭১৯, বাইহাকী শরীফঃ ১৯৩৩
নোটঃ আযানের তাকবীরসমূহের আওয়াজের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করা বা ইচ্ছা পূর্বক আওয়াজ উঁচু-নীচু করা নাজায়েয। দেখুনঃ বুখারী শরীফঃ ৬০৯, দারাকুতনীঃ ৯০৬, আদ দুররুল মুখতারঃ ১/৩৮৭

ইকামাতের সুন্নাত ৫টি

১. পাক-পবিত্র অবস্থায় ইকামাত দেয়া। দেখুনঃ তিরমিযী শরীফঃ ২০০
২. কিবলামুখী হয়ে ইকামাত দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে উভয় পা কিবলামুখী করে রাখা।
দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ৪৯৯, আদ দুররুল মুখতারঃ ১/৩৮৯
৩. ক. ইকামাতে হদর করা যেমনঃ প্রথম চার তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা ও প্রত্যেক তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
খ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলোর মধ্যে হতে দুই দুই বাক্য একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা।
গ. সর্বশেষ দুই তাকবীরের সাথে لَا اِ لٰهَ اِلَّا اللّٰه মিলিয়ে একত্রে এক শ্বাসে বলা এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা ।
দেখুনঃ তিরমিযী শরীফঃ ১৯৫, দেখুনঃ কানযুল উম্মালঃ ২৩২১০, দেখুনঃ মাআরিফুস সুনানঃ ২ ১৯৫; ফাতাওয়া শামীঃ ১/৩৮৬
৪. ইকামাতেও ডান দিকে চেহারা ফিরিয়ে তারপরে حَيَّ عَلٰي الصَّلٰوة বলা। এরপর বাম দিকে চেহারা ফিরিয়ে حَيَّ عَلٰي الْفَلَاح বলা। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সীনা না ঘুরে এবং চেহারা ঘুরানো শেষ হওয়ার পর حَيَّ عَلٰي الصَّلٰوة ও حَيَّ عَلٰي الْفَلَاح বলা শুরু করা।
দেখুনঃ মুসলিমঃ ৫০৩; আদ দুররুল মুখতারঃ ১/৩৮৭
৫. আযানের জওয়াবের মতই ইকামাতের জওয়াব দেয়া সুন্নত। তবে قَدْ قَامَتِ الصَّلَاة এর জওয়াবে أَقَامَهَا اللّٰهُ وَأَدَامَهَا বলা। দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ৫২৮

Loading