আরবী তারিখঃ এখন ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ৯ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ১২:৩৬ মিনিট
এলানঃ-
>>> ১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং তে সালেকীনদের জন্য সুন্নতী ইজতেমা সমূহ <<<
* মাহে যিলক্বদের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফজর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত। (আসন্ন)
* মাহে রবিউল আউয়ালের শেষ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফজর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত। (আসন্ন)
* মাহে রজবের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফজর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত। (আসন্ন)
.....................................................................
>> ১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং তে মজলিসে আইম্মাহ সমূহ (ইমাম-মুআজ্জিনদের জন্য) <<<
* মাহে শাউয়ালের শেষ শনিবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। (হয়ে গেছে)
* মাহে মুহাররমের শেষ শনিবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। (আসন্ন)
* মাহে রবিউস সানীর শেষ শনিবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। (আসন্ন)
* মাহে রজবের শেষ সপ্তাহে বিষয় ভিত্তিক সেমিনার। (আসন্ন)
*** প্রতি আরবী মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাদরাসার সকলের জন্য মাসিক সুন্নতী ইজতেমা।
*** প্রতি বছর ২০ শাবান থেকে ৩০ রমাযানুল মুবারক পর্যন্ত ৪০ দিন, রমাযানুল মুবারক এর প্রথম ১৫ দিন, রমাযানুল মুবারক এর শেষ দশক হযরাতে সালেকীনদের জন্য এতেকাফ।

চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর অবদান

১. চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দুই মাস যেতে না যেতেই পবিত্র মাহে রমাজানের শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা নিয়ে সারা দেশব্যাপী বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে, রাত দশটায় চাঁদ দেখার ঘোষনার নেপথ্যে রয়েছে চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর ঐতিহাসিক সাহসী উদ্যোগ। চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশও পবিত্র শাওয়াল মাসের ঈদুল ফিতরের চাঁদ না দেখা যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, কিন্তু হঠাৎ জাতীয় চাঁদ দেখা পর্যবেক্ষণ পরিষদের কয়েকজন সদস্য লালমনিরহাটে চাঁদ দেখা গেছে বলে চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী সাহেব দা. বা. কে অবগত করেন, এর সূত্র ধরে লালমনিরহাটে যারা চাঁদ দেখেছিল তাদের সাথে হযরত দাঃ বাঃ সরাসরি মোবাইলে যোগাযোগ করেন, তারা একাধিক মুসলমান নিজ চোখে চাঁদ দেখার সত্যতা প্রকাশ করেন এবং সরকার ডাকলে সেখানে গিয়ে সাক্ষী দিতে পারবেন বলে জানান, এ তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী সাহেব দাঃ বাঃ বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন এবং চাঁদ দেখার নিশ্চয়তার খবর জানান, কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় ঘোষণা দেয়া হয়ে গেছে, অতএব এখন আর কোনো তথ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।

হযরত দাঃ বাঃ তাদের পীড়াপীড়ি করলে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিষয়টি লালমনিরহাটের ডিসি সাহেব তাদের জানালে তারা বিষয়টি পুনরায় ভাবতে পারেন, হযরত দাঃ বাঃ সারা দেশে অবস্থিত চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর সকল সদস্যগণের পরামর্শে লালমনিরহাটের ডিসি সাহেবের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ডিসি সাহেবকে কল করেন এবং প্রায় দীর্ঘ সময় মোবাইলে আলোচনার মাধ্যমে চাঁদ দেখা সংক্রান্ত মাসআলা-মাসাইল ডিসি সাহেবকে বুঝাতে সক্ষম হন। প্রথম দিকে ডিসি সাহেব হযরত দাঃ বাঃ এর সকল দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও পরবর্তীতে আল্লাহ তা’আলার ফজল ও করমে চাঁদ দেখা গেলে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। হযরত দাঃ বাঃ লালমনিরহাটে যারা চাঁদ দেখেছিল তাদেরকে ডিসি সাহেবের নাম্বার দেন এবং যোগাযোগ করতে বলেন, তারা ডিসি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে ডিসি সাহেব নিজ লোক-জনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য নেন এবং চাঁদ দেখার খবর সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানালে, দেরিতে হলেও রাত প্রায় দশটার সময় বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় সাবেক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চাঁদ দেখার নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং আলহামদুলিল্লাহ পরের দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়। এটি চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ এর প্রথম সফলতা। ততকালীন ধর্মমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ এ ব্যাপারে পরিপূর্ন অবগত ছিলেন।

২.