আরবী তারিখঃ এখন ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ৩ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ শুক্রবার, সময় রাত ২:০৫ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী দা. বা. এর জীবন ও আদর্শ

জন্ম 

হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী দাঃ বাঃ বিন মিজানুর রহমান মুনির বিন যিলহক্ব বিন রফআতুল্লাহ বিন মুফতুল্লাহ রহঃ ১৭ রমযানুল মুবারক, ১৪১৪ হিঃ, ০১ মার্চ, ১৯৯৪ ইং সনে রোজ মঙ্গলবার চাশতের নামাজের সময় সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর উত্তর পাড়ার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, হযরতের সম্মানিত পিতার নাম মুহাঃ মিজানুর রহমান মুনির দাঃ বাঃ৷

প্রাথমিক শিক্ষা

হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী দাঃ বাঃ মাত্র ৬ বছর বয়সে নিজ গ্রামের ফুরকানিয়া মাদরাসার মকতবে আশা যাওয়া শুরু করেন৷ ২ বছর পর মাত্র ৮ বছর বয়সে সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ ক্লাস 2 এ পড়াকালীন সময় কিছুদিন পর হযরতওয়ালার সম্মানিত পিতা মোঃ মিজানুর রহমান মুনীর স্কুল থেকে নিয়ে স্থায়ীভাবে আহমদ জান জামিয়া আশরাফুল মাদারিস, মাসুমপুর হাজীবাড়ি মাদরাসা সিরাজগঞ্জে ভর্তি করে দেন৷ ক্বারী তমিজউদ্দিন সাহেব দাঃ বাঃ এর কাছে নাজেরা শেষ করেন, এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার বোর্ড পরিক্ষায় ২০ তম স্হান কৃতিত্বের সাথে লাভ করেন৷

পরে হাজীবাড়ি মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যার কারণে মাদরাসার প্রবীণ ওস্তাদগন মাদরাসা ছেড়ে চলে যান, এর মধ্যে হাজীবাড়ি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল হাকিম সেলিম সাহেবও ছিলেন, হযরতের তৎকালীন মুরুব্বি মাওলানা আবদুল হাকিম সেলিম সাহেব হযরত দা. বা. কে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার ঐতিহ্যবাহী কওমী মাদরাসা, তামাই কবরস্থান মাদরাসায় ভর্তি করে দেয়ার পরামর্শ দেন৷ সেই পরামর্শ অনুযায়ী হযরত দা. বা. এর সম্মানিত পিতা হযরত দা. বা. কে ১০ বছর বয়সে ১৪২৫ হিঃ, ২০০৪ ইং সনে আল জামিআতুল আহলিয়াতুল আমিনিয়া, তামাই কবরস্থান কওমি মাদরাসায় মকতবে ভর্তি করে দেন৷ হযরত দা. বা. তামাই মাদরাসায় মক্তব থেকে জামাআতে হাফতম (হেদায়াতুন্নাহু) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন৷

মাধ্যমিক শিক্ষা

হযরত দা. বা. মাত্র ১৪৩০ হিঃ, ২০০৯-২০১০ ইং সনে উত্তরবঙ্গের কওমী মাদরাসা সমূহের প্রাণকেন্দ্র, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া কাসিমুল উলুম জামিল মাদরাসায় ভর্তি হন, জামিল মাদরাসায় জামাআতে শশম (কাফিয়া) থেকে নিয়ে জামাআতে সুয়াম (হেদায়া) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন৷

উচ্চশিক্ষা, সর্বচ্চ সনদ গ্রহন ও আত্বশুদ্ধি

যেহেতু হযরত দা. বা. নিজের ইসলাহ ও আত্মশুদ্ধির ফিকির করতেন! তাই দ্বীনি শিক্ষা ও আত্বশুদ্ধির উদ্দেশ্যে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশর বসুন্ধরা ঢাকায় গমন করেন৷ ১৪৩৪ হি., ২০১৩-২০১৪ ইং সনে বাংলাদেশের ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকায় জামাতে উলা (মেশকাত) এ ভর্তি হন৷ যেহেতু বসুন্ধরায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি, তাই মেশকাত পড়াকালীন সময়ই ০৯/০৪/১৪৩৫ হি., ১০/০২/২০১৪ ইং রোজ সোমবার বাদ ইশা রাত ৯ টা ২ মিনিটে শায়খুল আরব ওয়াল আজম, মুফতি আজম বাংলাদেশ, হযরতওয়ালা শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ. এর হাতে বাইয়াত হন, ছাত্রদের যে জামাআতটি ওই সময় বাইয়াত হয়ে ছিলো তারমধ্যে হযরত দাঃ বাঃ সর্বপ্রথম ছিলেন, এরপর সর্বশেষ মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৪৩৬ হি., ২০১৪-২০১৫ ইং সনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান মারকাযুল ফিকরিল ইসলামি (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকা থেকে দাওরায়ে হাদিস, মাস্টার্স সমমান, বা তাকমীল শেষ করেন৷

হযরতওয়ালা শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ. থেকে হাদিসের সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন, যেই সনদকে হযরত ফকিহুল মিল্লাত রহ. নিজ মুখে বারবার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ সনদে আ‘লা ও আলী বলে প্রকাশ করতেন৷ যেহেতু শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এরপর কাউকে হাদিস পড়াননি এবং সনদও প্রদান করেননি, তাই হযরত দা. বা. ও অন্যান্য সাথীরা শাহ ফক্বীহুল মিল্লাত রহ. এর সর্বশেষ শাগরেদ এবং ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত৷ হযরত দা. বা. শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর প্রিয়, বিশেষ শাগরেদ এবং খাদিমও ছিলেন বলে তৎকালিন বসুন্ধরা মারকায সুত্রে তথ্য পাওয়া যায়, তাই শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. হযরত দা. বা. কে বুখারী শরীফের সনদ প্রদান কালে বিশেষ পরামর্শ প্রদান করেন, যেই পরামর্শ পরবর্তীতে হযরত দা. বা. পরিপূর্ণভাবে পালন করেছিলেন৷

হযরত দা. বা. এর হাদিসের সনদ

সায়্যিদুল মুরসালিন মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত হযরত দা. বা. এর হাদীসের সনদ৷

হাদিসের সর্বচ্চ সনদপত্র

মুফতিয়ে আজম বাংলাদেশ শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহঃ এর খিদমত, সহবত ও খানকায় গমন 

হযরত দা. বা. দাওরায়ে হাদিস শেষ করার পর এবং শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. থেকে হাদিসের ইজাজত লাভ করার পর শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শে মাত্র ২২ বছর বয়সে শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. প্রতিষ্ঠিত বসুন্ধরা মারকাযে অবস্থিত খানকায়ে এমদাদিয়া আশরাফিয়া আবরারিয়ায় গমন করেন, খানকার মামুলাত অনুযায়ী নিজ আত্বশুদ্ধীর জন্য কঠোর মেহনত শুরু করেন, তখন শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. পাশাপাশি খানকার সহকারি পরিচালক ছিলেন মুরশিদুস সুন্নাহ হযরতওয়ালা শাহ মুফতি সুহাইল দা. বা., তাই শাহ মুফতি সুহাইল দা. বা. হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ. প্রনিত খানকার মামুলাত অনুযায়ী হযরত দা. বা. এর উপর অনেক কঠরতা ও ভালবাসার সাথে মেহনত করতে থাকেন।

যেহেতু হযরত দা. বা. খানকায় আগমনের বেশ কিছু সময় আগ থেকে শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর খেদমতে হাজির হতেন, সেহেতু খানকার সকল মামুলাত হযরত দা. বা. এর জানা ছিল, এজন্য হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ. প্রনিত খানকার সকল মামুলাত সমূহ আমলে আনা সহজ হয়, খানকায় গমনের কয়েক মাস পর হঠাৎ শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. মারাত্বক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন, হযরত দা. বা. তখন শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর সুযোগ্য সন্তান মুফতি আরশাদ রহমানী দা. বা. এর নির্দেশে খানকার মামুলাতের পাশাপাশি শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর বিশেষ খিদমতে আত্বনিয়োগ করেন, এজন্য হযরত দা. বা. একই সাথে শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর যেমন সর্বশেষ শাগরিদ, তেমনি সর্বশেষ সহবত প্রাপ্ত ও সর্বশেষ খাদিম হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন৷

খানকায় হযরত দা. বা. এর এক বছর অতিবাহিত হওয়ার কিছু দিন বাকি থাকতেই প্রিয় মুর্শিদ, লখতে জিগার শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর ইন্তেকাল হয়ে যায়, প্রিয় শাইখের ইন্তেকালে হযরত দা. বা. আত্বিকভাবে ভেঙ্গে পরেন, জানাযায় অংশগ্রহনের অনুমতি থাকলেও খানকার নিময় অনুযায়ি শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর দাফন কার্যে অংশগ্রহন করতে না পেরে অত্যান্ত মর্মাহত হন। হযরত দা. বা. ১ বছর ৯ মাস ১৮ দিন শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর খাস মুরিদ, প্রায় ১ বছর সহবত ও টানা ৫ মাস বিশেস সহবতে থেকে নিজের আত্বশুদ্ধীর চেষ্টা করেন৷ ১ রমাযান ১৪৩৭ হি. সনে খানকায় এক বছর পরিপুর্ন হয়, শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর ওসিয়ত অনুযায়ী রমাযানে ৪০ দিনের ইতিকাফ শেষ করে ১ বছর পর নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জে গমন করেন।

তাজদিদে বাইআত

শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর ইন্তেকালের পর হযরত রহ এর ওসিয়ত অনুযায়ী তারই সুযোগ্য সন্তান মুফতি আরশাদ রহমানী দা. বা. এর হাতে ০৯/০৪/১৪৩৭ হিঃ, ২০/০১/২০১৬ ইং মোতাবেক রোজ বুধবার সকালে তাজদিদে বাইআত করেন, খানকায় অবস্থানকালীন সময়ে হযরত দা. বা. তখনকার মুরুব্বী ও শাইখ শাহ আরশাদ রহমানী দা. বা. থেকেও বিশেষ ফুয়ুজাত হাসিল করেন এবং শাহ আরশাদ রহমানী দা. বা. এর কাছে “ইকমালুশ শিয়াম” নামক তাসাউফের গুরুত্বপুর্ন কিতাব পড়েন৷

ইজাযতে বাইআত ও খিলাফত

যেহুতু শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর ইন্তেকালের পর তার রেখে যাওয়া কাজগুলো শাহ আরশাদ রহমানী দা. বা. এর করতে হতো, তাই তিনি খুবই ব্যস্ত হয়ে পরেন। বেশি ব্যস্ত থাকার কারনে ও ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারনে হযরত দা. বা. ইস্তেখারা করে খানকায় থাকাকালীন তৎকালীন খানকাহ এর সহকারী মহাপরিচালক (হযরত ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর নায়েব) মুরশিদুস সুন্নাহ হযরতওয়ালা শাহ মুফতি সুহাইল দা. বা. এর হাতে ০৪/০৩/১৪৩৯ হিঃ, ২৪/১১/২০১৭ ইং রোজ শুক্রবার, বার তাসবিহের যিকরের পর বাইআত গ্রহন করেন৷

০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি রোজ সোমবার হযরত ওয়ালা মুরশিদুস সুন্নাহ দা. বা. দিনাজপুর সফর শেষে আনুমানিক এশার পূর্বে শাহজাদপুরের ঐতিহ্যবাহী রানীকোলা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় পৌঁছেন ও মুতাআল্লিকীনদের নিয়ে রাত্রি যাপন করেন। শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাযের পর বারো তসবিহার জিকিরের মজলিস হয়।

১২ জুমাদাল উলা ১৪৪৪ হিজরী মুতাবিক ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি রোজ মঙ্গলবার ফজরের নামাজ আদায় ও ইশরাকের নামাজের পর খুসুসী দুআর মজলিস কায়েম করেন। বেশ সময় দুআ চলতে থাকে, এরপর মেহমান খানায় তাশরিফ নিয়ে যান এবং মজলিসে বাইআত কায়েম করেন। এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর, টাঙ্গাইল, কামারখন্দ, উল্লাপাড়াসহ শাহজাদপুরের উলামায়ে কিরামের একটি বড় জামাআত উক্ত মজলিসে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ সদর ও উল্লাপাড়ার কয়েকজন হযরতওয়ালা মুরশিদুস সুন্নাহ দা. বা. এর সাথে ইসলাহী লাআল্লুক কায়েম করেন, উক্ত মজলিসে রানীকোলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমদ দা. বা., কামারখন্দ থানার রসুলপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল লতিফ দা. বা., চৌবাড়ী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ দা. বা., টাঙ্গাইল থেকে হযরত মাওলানা মুফতি তৌহিদুল ইসলাম দা. বা. (মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকার খানকাহে এমদাদিয়া আশরাফিয়া আবরারীয়ায় সাল লাগানেওয়ালা আলেমে দীন) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই মজলিসের শেষে সালেকিনদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় হযরতওয়ালা মুরশিদুস সুন্নাহ দামাত বারাকাতুহুম মাওলানা ইসমাইল সিরাজী দা. বা.কে ইজাজতে বাইয়াত ও খিলাফত প্রদান করেন। এবং অত্র অঞ্চলের হযরতওয়ালার মুতাআল্লিকীনদের জন্য জিম্মাদার নির্ধারণ করেন।

হযরত দা. বা. এর আসাতিযাগন 

★ আওলাদে রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সায়্যিদ শাহ আব্দুল মজিদ নদীম রহ., পাকিস্থান

১. হযরতওয়ালা শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ., বসুন্ধরা ঢাকা।

২. রাহবারে তরিকত মুরশিদুস সুন্নাহ, আরিফ বিল্লাহ শাহ মুফতি সুহাইল দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৩. হযরত মাওলানা মুফতি আরশাদ রহমানী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৩. মুফতি এনামুল হক কাসেমী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৪. মুফতি মঈনুদ্দীন দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৫. মুফতি আব্দুর রহমান কক্সবাজারী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৬. মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৭. মুফতি ইহসানুল্লাহ দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৮. মাওলানা হাসান দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৯. মুফতি আবু সাদেক কাসেমী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

১০. মাওলানা হারুন বুখারী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

১১. মুফতি শরীফুল আজম দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

১২. মুফতি জাফর আলম কাসেমী দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

১৩. মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৪. মাওলানা আব্দুস সবুর কাসেমী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৫. মাওলানা ইয়াকুব নাজির চাটগামী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৬. মুফতি শফি কাসেমী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৭. মাওলানা আনওয়ারুল্লাহ দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৮. মাওলানা শহিদুল ইসলাম দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

১৯. মুফতি আব্দুর রহিম আনওয়ারী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২০. মুফতি ইদ্রিস দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২১. মুফতি সাদিক দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২২. মুফতি আব্দুল কাইয়ুম দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২৩. মাওলানা আব্দুল হক আজাদ দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২৪. মুফতি আতাউল্লাহ নিজামী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২৫. মাওলানা ইউসুফ সুজাপুরী দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২৬. মুফতি আমানুল্লাহ দা. বা., জামিল মাদরাসা, বগুড়া।

২৭. মাওলানা আব্দুর রহিম রহ., মাসুমপুর মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

২৮. মাওলানা আব্দুল হাকিম (সলিম) দা. বা., মাসুমপুর মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

২৯. মাওলানা জহুরুল ইসলাম দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩০. মুফতি শওকত কাসেমী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩১. মাওলানা আব্দুল মান্নান কাজিপুরী রহ., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩২. মাওলানা রুহুল আমিন দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৩. মাওলানা আল আমিন টাঙ্গাইলী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৪. মাওলানা আল আমিন দৌলতপুরী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৫. মাওলানা হাফিজুর রহমান রহ., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৬. মাওলানা আব্দুর রউফ মাদানী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৭. মাওলানা কুরবান আলী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৮. মাওলানা ছানাউল্লাহ নিয়ামতী দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৩৯. মাওলানা ক্বারী তমিজউদ্দিন দা. বা., মাসুমপুর মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৪০. মাওলানা ক্বারী আব্দুল কাদের দা. বা., তামাই মাদরাসা, সিরাজগঞ্জ।

৪১. মাওলানা ক্বারী আব্দুল মাবুদ দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

৪২. মাওলানা ক্বারী জয়নাল আবেদীন দা. বা., বসুন্ধরা ঢাকা।

হযরত দাঃ বাঃ সম্পর্কে তার শাইখ ও উস্তাদগনের সুধারনা ও সুমন্তব্য 

হযরত দা. বা. এর শাইখে আউয়াল শাহ ফকিহুল মিল্লাত রহ. মারকাযের এক উস্তাদকে বলেন : ওকে (ইসমাইলকে) দেখে রেখো, ওর দ্বারা অনেক কাজ হবে৷

হযরত দা. বা. এর উস্তাদে খাস মুফতি আব্দুস সালাম দা. বা. বিভিন্ন মজলিসে বলেনঃ গত বছর খানকাতে একটি ছেলে ছিলো, যার নাম ইসমাইল, যার বার তাসবিহের যিকর আমার কাছে খুব ভাল লাগতো, তোমরা তো তার মতো যিকর করতে পারো না৷

হযরত দা. বা. এর শাইখ ও মুরুব্বী মুরশিদুস সান্নাহ শাহ মুফতি সুহাইল দা. বা. এক মজলিসে বলতেনঃ ইসমাইল তো আমার উপর রাগ করে আছে, কেননা ওকে খানকাহে মাঝে মধ্যে আমি কাদিয়েছি, মনে রাখবে এই কাদানই একদিন তোমাকে আমার কথা মনে করিয়ে দিবে এবং হাসাবে৷ খানকাহতে থাকা অবস্থায় একবার এক ছাত্র হযরত দা. বা. এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যান, তখন শাহ মুরশিদুস সুন্নাহ দা. বা. বলেনঃ ইসমাইলের দিল সাফ, ভিতর পরিস্কার৷

نادان کو اس بات کا بالکل نہیں پتا
وتعز من تشاء وتذل من تشاء
اللہ کے حضور یہ ہوتا ہے فیصلہ
وتعز من تشاء وتذل من تشاء
جھوٹی نوازشات کی بارش فضول ہے
مجھ کو ذلیل کرنے کی سازش فضول ہے
میرا قدم قدم پہ مددگار ہے خدا
وتعز من تشاء وتذل من تشاء
بنجر زمیں پہ پھول کی چادر بچھائے وہ
پتھر کو موم موم کو پتھر بنائے وہ
اس کی رضا سے زہر بھی بن جاتا ہے دوا
وتعز من تشاء و تذل من تشاء
کچھ بھی نہیں ہوں دوستو ان پڑھ گنوار ہوں
بے نام بے نشان ہوں بے اعتبار ہوں
و تعز من تشاء و تذل من تشاء

খিদমতি জীবন 

খানকাহ থেকে সিরাজগঞ্জ এসে হযরত দা. বা. মুরুব্বীদের পরামার্শে সিরাজগঞ্জের ঐতিহাসিক কওমি মাদ্রাসা শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী ঘাট দারুল উলুম কওমি মাদরাসার খেদমতে আত্মনিয়োগ করেন, সেখানে হযরত দা. বা. কে নাযিমে তালিমাত বা শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

হযরত দা. বা. আসার আগে উক্ত মাদরাসা কয়েক দফা বেদআতিদের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে, হযরত দা. বা. এসে মাদরাসার কিতাব বিভাগ চালু করেন, প্রথম বছর শুধুমাত্র ইয়াজদহম বা উর্দু কায়দার জামাত চালু করা হয়, হযরত দা. বা. কে তালীমুল ইসলাম এবং বেহেস্তি জিওর কিতাব পড়ানোর জন্য নির্বাচন করা হয়।

বাঘাবাড়ীঘাট মাদরাসার ইতিহাসে সর্বপ্রথম মাদরাসাতে ইহইয়ায়ে সুন্নত ও সুন্নতের আমলি মশক শুরু করা হয়, শেষ রাতে বার তাসবিহের যিকরের হালকা কায়েম করা হয়, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশে চলা পাচ ওয়াক্ত নামাজের পরের আমলগুলো শুরু করার চেষ্টা করা হয়, অল্প কিছু দিনের মধ্যে হযরত দা. বা. এর সুনাম সকলের মাঝে ছরিয়ে পরে, কিন্ত হযরত দা. বা. নিজ মুরুব্বীর পরামর্শে ১৪৩৮ হিঃ রমাযান মাসে বাঘাবাড়ি ঘাট মাদরাসা ছেরে নিজ এলাকায় চলে আসেন৷

তালিমাত ও খিদমাত

রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ।

রহমানিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা ফরিদপুর, পাবনা।

মজলিসে এহইয়ায়ে সুন্নাহ বাংলাদেশ।

চাঁদ পর্যবেক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশ।