আরবী তারিখঃ এখন ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় সকাল ৯:৫৮ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

সব কিছুই আল্লাহ তাআলার নিআমত –মুহিউস সুন্নাহ হযরতওয়ালা শাহ আবরারুল হক হরদূঈ রহ.

হারদুঈ হযরত আল্লামা আবরারুল হক হক্কী রা. একবার আসরের পর মজলিস চলছিলো৷ হঠাৎ হালকা বৃষ্টি শুরু হলো৷ যার কারণে মজলিসের লোকজন ঘরে যেতে শুরু করলো৷ এই দৃষ্য দেখে হযরত বললেন, যদি কেউ এই অবস্থায় জিজ্ঞাস করে- তোমরা আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে পলায়ন করতেছো, তখন কী উত্তর দিবে? বিভিন্ন জন বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রত্যেকের আন্দাজে উত্তর দিলো৷ সর্বশেষে হযরতের কাছেই এর উত্তর জানতে চাওয়া হলো৷

উত্তরে হযরত বলেন, কথা হলো সবকিছুই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত৷ যেভাবে বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত, তেমনিভাবে ছায়াদার স্থানও আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত৷ রোদ যেমন নিয়ামত, ছায়াও তেমনি নিয়ামত৷ গরমও তার নিয়ামত৷ এখন কথা হলো, সবকিছুকেই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত ও নিয়ামত মনে করে প্রত্যেকের অবস্থাভেদে যে নিয়ামতটি বান্দার জন্যে উপযোগী হয় সেটি গ্রহণ করবে৷ বাকী নিয়ামতকে নিয়ামত বিশ্বাস করে, অন্য নিয়ামত গ্রহণ করা আদবের বিপরিত না৷ এবং সেটিকে আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত থেকে মুখ ফিরানো বলে না৷

উদাহরণস্বরুপ, জরুরতবশত রোদ থেকে ছায়ায় যাওয়া খেলাফে আদব নয়৷ এবং এমন করা তাঁর রহমত ও নিয়ামত থেকে মুখ ফিরানো বলে না৷ বরং দ্বিতীয় নিয়ামত ও রহমতকে অনুসন্ধান বলে৷ হ্যাঁ, যদি কেউ রোদ, বৃষ্টি, প্রচন্ড ঠান্ডা বা প্রচন্ড গরম কে মহান রাব্বুল আলামীনের নিয়ামত ও রহমত মনে না করে৷ এবং সে মনে করে এগুলো এখন সময় উপযোগী না এবং এখন দেয়া ঠিক হয়নি৷ এই মনোভাব দেখিয়ে যদি কেউ অন্য নিয়ামত তালাশ করে, তাহলে তার কাজটি ঠিক হয়নি৷ বরং সে মন্দকাজ করলো৷ আর এমন মনোভাবে অন্য নিয়ামত তালাশ করাও নিষেধ৷হযরত বলেন, বরং সে এই মনোভাব রাখবে যে, সবকিছুই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত ও নিয়ামত৷ কিন্তু আমি দুর্বল হওয়ার কারণে এই নিয়ামতটি বহন করতে পারতেছি না৷ এই জন্যে যে নিয়ামতটি আমার জন্যে বহন করা সহজ, সেই নিয়ামতটি খোঁজতেছি৷ এমন মনোভাবে অন্য যে নিয়ামতটি সহজ, তা খোঁজা ঠিক আছে এবং শয়ীরতেও অনুমতি আছে৷ এবং এক্ষেত্রে বলা যাবে না যে, সে নিয়ামত থেকে মুখ ফিরিয়েছে৷এক নিয়ামত থেকে অন্য নিয়ামতের দিকে মনোনিবেশ করছে৷ বরং এক নিয়ামত থেকে অন্য নিয়ামত পাওয়ার জন্যে দুআও করা চায়৷ যেমন, অসুস্থতা নিয়ামত৷ আবার সুস্থতাও নিয়ামত৷ এক্ষেত্রে সুস্থতার জন্যে দুআ করা এবং অসুস্থতা থেকে পানাহ চাওয়া বৈধ আছে৷ এবং এমনটি করা সঠিকও৷ আর দুআ এভাবে করা- হে আল্লাহ! এই অসুস্থতাও আপনার নিয়ামত৷ কিন্তু আমি দুর্বল হওয়ার কারণে এই নিয়ামতটি বহন করতে পারছি না৷ এই জন্যে আপনি আপনার নিজ অনুগ্রহ ও দয়ার দ্বারা আমাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুন৷ এবং অসুস্থ নামক নিয়ামতকে সুস্থতা নামক নিয়ামত দ্বারা পরিবর্তন করে দিন৷ এবং সুস্থতার জন্যে চিকিৎসা করাও সুন্নত৷ বরং অনেক সময় চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে যায়৷

হযরত বলেন, মোটকথা হলো- প্রত্যেক নিয়ামতকে নিয়ামত মনে করে, নিজের দুর্বলতার কারণে অন্য নিয়ামত গ্রহণ করা, আগের নিয়ামতের ব্যাপারে কোন ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ না করে- সহিহ আছে৷ এবং এমন করাই উপযোগী৷ তাতে কোন ধরনের খারাপতা নেই৷ এই কাজকে মন্দ বলার কোন সুযোগ নেই৷

Loading