আরবী তারিখঃ এখন ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় বিকাল ৪:১৬ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

শিক্ষকতা করার নিয়ম, –মুফতী মনসুরুল হক দা.বা.

১. মুদাররিসের জন্য তার ফনের ব্যাপারে ও পড়ানোর পদ্ধতির ব্যাপারে মুজতাহিদ হতে হবে। অর্থাৎ, যে ফন পড়াবে সে ফন ছাত্রদের মধ্যে কিভাবে আসবে সে ব্যাপারে দক্ষ হতে হবে এবং চিন্তা-ফিকির করতে হবে। এরজন্য তাকে দুটি কাজ করতে হবে;ক. প্রথম দিন পরীক্ষা নিয়ে মনে মনে ছাত্রদের দরজা নির্ধারণ করে নিতে হবে; কে আ‘লা, কে মুতাওয়াসসিত, কে আদনা। তারপর প্রতিদিন নতুন সবক ঐ তারতীব মত শুনবে। কিন্তু পুরাতন সবক আদনা থেকে শুরু করবে।খ. মুদাররিস মুতালা‘আ ব্যতীত দরসে যাবে না এবং মুতালা‘আর পরে কথাগুলো ফিকিরের মাধ্যমে তারতীব দিতে হবে। যাতে সর্বস্তরের ছাত্ররা সহজে বুঝতে সক্ষম হয়।

২. কঠিন বিষয়গুলো মুদাররিস নিজের কাধে নিবে। ছাত্রদের কাধে দিবে না। অর্থাৎ, নকশা করে বুঝিয়ে তাদের থেকে তারতীব মত শ্রবণ করে তারপর মতনের সরল অর্থ করবে।

৩. নিচের জামা‘আতের কিতাবগুলোতে অতিরিক্ত কথা বলবে না। একান্ত জরুরতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু বলতে হবে। অতিরিক্ত কথা সংখ্যাসহ তারতীবওয়ার বলবে। উল্লেখ্য, উস্তাদের মা‘লূমাত অধিক থাকতে হবে। যাতে ছাত্রদের প্রশ্নের সময় লা-জওয়াব না হতে হয়।

৪. নিচের জামা‘আতের ছাত্রদের সামনে উপরের জামা‘আতের তাকরীর করবে না। যেমন: মীযানুস সরফ ঘন্টায় শরহে জামীর তাকরীর না করা। (তুহফাতুল উলামা: ১/৪৭০)

৫. সবকের সময়টা ভাগ করে নিবে। যেমন ৫মিনিট গতকালের সবক শুনা, ৫মিনিট মুতালা‘আ শুনা, ১০ মিনিট নকশা করে বুঝানো, ৫ মিনিটি নতুন সবক শুনা, ৫ মিনিট মতনের তরজমা করা। ৫ মিনিট অতিরিক্ত অথচ জরুরী কথা বলা।

৬. কাফিয়া পর্যন্ত সকল জামা‘আতের নিয়ম হল, প্রতি দিনের সবক ক্লাশেই ইয়াদ করিয়ে দিতে হবে। যাতে গলদ বুঝে তাকরার না করায় বা গলদ ইয়াদ না করে।

৭. ছাত্রদেরকে মুতালা‘আ, সবকে উপস্থিতি ও তাকরারের উপর খুবই গুরুত্ব প্রদান করবে। মুতালা‘আর মধ্যে কতটুকু বুঝল, কতটুকু না বুঝল তার পার্থক্য করতে হবে। সবকে অনুপস্থিত নাজায়েয মনে করবে। ছোট ছোট গ্রুপ করে প্রত্যেকের তাকরারের ব্যবস্থা করবে।

৮. মুতালা‘আ, সবক মুখস্ত করা এবং পিছনের পড়া নেগরানী করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিবে। এসবের পাবন্দি না করলে সতর্ক করবে। আর পদ্ধতি বাতলানো ছাড়াই তাদেরকে মারা/পিটানো জুলুম। (মাজালিসে আবরার: ২৩৩)

৯. ছাত্ররা মুতালা‘আ না করলে সবক পড়াবে না। আর মুতালা‘আর পরীক্ষা নিবে। যেমন জিজ্ঞেস করবে, আজ কোন পর্যন্ত পড়াবে? যদি এমন কোন স্থানের কথা বলে যেখানে কথা অসম্পূর্ণ, অথবা কোন মাসআলার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে যেটা মাসআলার পরে উল্লেখ রয়েছে। যদি কিছু বলতে না পারে তাহলে বুঝতে হবে যে, সে মুতালা‘আ দেখেনি অথবা মনযোগ দিয়ে দেখেনি। (মাজালিসে আবরার)

১০. পড়াবে অল্প কিন্তু মুতালা‘আ করাবে বেশী। এমন খেয়াল রাখবে না যে, বেশী বেশী পড়িয়ে দ্রুত কিতাব শেষ করতে হবে। কেননা কিতাব খতম করে কি হবে যদি বুঝেই না আসে অথবা মনে না থাকে। (মাজালিসে আবরার)

১১. প্রথমে মেছাল সামনে পেশ করতে হবে, তারপর কায়েদাকে তার সাথে ফিট করে দিতে হবে। অর্থাৎ, ইলমুস সরফের তরয অনুযায়ী পড়াবে। মীযান-মুনশাইব-এর তরযে নয়।

১২. কিতাবে আলোচ্য মাসআলার যে উদাহরণ দেয়া হয়েছে সেটার উপর ক্ষান্ত করবে না। বরং আরো অনেক শুদ্ধ ও অশুদ্ধ উদাহরণ বানিয়ে ছাত্রদেরকে দেখাবে। আর শুদ্ধ-অশুদ্ধের পার্থক্য তাদের মাধ্যমে করাবে। (মাজালিসে আবরার)

১৩. বদ আখলাক ও নেক আখলাকের উদাহরণসমূহ কুরআন-হাদীসের ছোট ছোট বাক্য থেকে বের করে মু’রাব, মাবনী, আমেল, মা‘মুল ইত্যাদির মশক করাবে। যাতে নিয়মাবলীরও মশক হয়ে যায়, শিষ্টাচারও হাসিল হয় এবং মনের মধ্যে হাদীসগুলো ভালভাবে বদ্ধমূল হয়। (মাজালিসে আবরার)

১৪. সরফ শাস্ত্রের যে সব ফেয়ে‘ল সহীহ, মাহমূয, মু‘তাল ইত্যাদি হিসেবে ১১ প্রকার আছে প্রত্যেকটির সরফে সগীর এবং সরফে কাবীর মুখস্ত করিয়ে দিবে এবং সেগুলোর তা‘লীলও প্রচুর পরিমাণে মশক করাবে। (মাজালিসে আবরার)

১৫. আরবী আদব পড়ানেওয়ালার জিম্মাদারী হল যে, সে আদব পড়ানোর সময়ও নাহব ও সরফের ইজরা করাবে। ১৬ কিসিম পড়ানোর পর হালাতে এ‘রাব কি ও কেন? ত্বরীকে এ‘রাব কি ও কেন? এগুলো জিজ্ঞাসা করবে। তারকীব জিজ্ঞাসা করবে।

১৬. যদি উস্তাদ মনে করে যে, একবার তাকরীর করার দ্বারা ছাত্ররা তা ভাল করে বুঝতে পারবে না। তাহলে উক্ত বিষয়টি দ্বিতীয় বার আলোচনা করবে। (তুহফাতুল উলামা-১/৪৬০)

১৭. ছাত্ররা বুঝার উদ্দেশ্যে উস্তাদকে প্রশ্ন করতে থাকলে উস্তাদের বিরক্ত না হওয়া। বরং ধৈর্য্য সহকারে শ্রবণ করে জওয়াব উপকারী মনে হলে তাৎক্ষণিক বা পরবর্তীতে তার উত্তর প্রদান করবে। (তুহফাতুল উলামা: ১/৪৬০)

১৮. ছাত্রদের জানা বিষয় হলে তা সহজে বলে দিবে না। বরং জানা বিষয়গুলো তাদের থেকেই উদ্ধার করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পিছনের কিতাবের নাম বলবে। তারপরে না পারলে ঐ বহসের নাম বলবে। সারকথা তাদের ব্রেনকে কাজে লাগাবে। কারণ যে অঙ্গকে কাজে লাগানো হয় তার শক্তি বেড়ে যায়। অন্যথায় তা বেকার হয়ে যায়।

১৯. তাকরীর শেষ করার পর যদি উস্তাদ বুঝতে পারেন যে, তার তাকরীর ভুল হয়েছে, তাহলে সাথে সাথে তা থেকে রুজু করে নিবে। কেননা স্বীয় ভুল স্বীকার না করে তার উপর অটল থাকলে কয়েকটি ক্ষতি হয়ে থাকে। যথা: ক. গুনাহে জর্জরিত হতে হয়। খ. যদি ছাত্ররা জানতে পারে যে, উস্তাদ ভুল তাকরীর করেছেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই উক্ত উস্তাদের প্রতি তাদের ধারণা খারাপ হয়ে যাবে। গ. উস্তাদের অধিকাংশ আখলাকের প্রতিফলন ছাত্রদের মধ্যে ঘটে। সুতরাং যদি খোদা নাখাস্তা উক্ত উস্তাদের এ খারাপ গুণটি ছাত্রদের মধ্যে এসে যায় তাহলে তিনি নিম্নোক্ত হাদীসের মিসদাক হবেন : (তুহফাতুল উলামা: ১/৪৬৮)- وَمَنْ سَنَّ في الإِسْلاَمِ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعَلَيْهِ وِزْرُهَا وَوِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا [النسائي حـ:٢٥٥٤

২০. যদি ছাত্র কোন কথা বলে আর সেটাই হক হয় তাহলে স্বত:স্ফূর্ত ভাবে সঙ্গে সঙ্গে তার কথা মেনে নিবে। টাল-বাহানা করবে না। (মাজালিসে আবরার)

২১. পড়ানোর সময় অন্যদের সাথে কথা বলে ছাত্রদের ক্ষতি করবে না এবং তাদেরকে কিতাবের সাথে সম্পর্কহীন কথা-বার্তা বলে বিচলিত করবে না। (মাজালিসে আবরার)

২২. পুরাতন পাঠের খুব নেগরানী করবে। (মাজালিসে আবরার)

২৩. ছাত্রদের সামনে কোন সবক সম্পর্কে “কঠিন” শব্দ উল্লেখ করা যাবে না। এতে ছাত্ররা ওটা ইয়াকীন করে হিম্মত হারিয়ে আর বুঝতে পারে না। হ্যাঁ! তবে সবক শেষ করে ভালভাবে বুঝিয়ে একথা বলা যেতে পারে যে, এই সবকটি অনেকেই কঠিন বলে ধারণা করে, যা একদম ভুল। তোমরা দেখতে পেলে এ সবক সহজ।

২৪. বাচ্চাদের সামনে তাওয়াযু (বিনয়) করা যাবে না। অর্থাৎ, এমন বলা যাবে না যে, আমি কিছুই নই, আমি হাকীর, ফকীর ইত্যাদি। কারণ ছোট ছাত্ররা এটাকেই বিশ্বাস করে নেয়। এতে উস্তাদের প্রতি ছাত্রদের ধারণা খারাপ হয়ে যায়। তবে যদি একান্ত সমস্যা হয় বা আটকে যায় তাহলে হেকমতের সাথে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, জানা নেই তাও বলবে না। গলদ ব্যাখ্যাও করবে না। বরং সকলকে হল করে আসার জন্য বলবে। তারপর তারা না পারলে বলে দিবে।

২৫. উস্তাদ সকল ছাত্রকে এক নজরে দেখবেন। যাতে কোন ছাত্র না ভাবতে পারে যে, উস্তাদ আমার প্রতি বেশী লক্ষ্য রাখেন না। কারণ এতে পড়ার প্রতি উক্ত ছাত্রের আগ্রহ কমে যাবে। (মাজালিসে আবরার)

২৬. কোন ছাত্র সবক না পারলে তাকে গরু, ছাগল, গাধা ইত্যাদি বলা যাবে না। কারণ উস্তাদ মা-বাবার মত। আর তাদের দু‘আও মা-বাবার দু‘আর মত কবুল হয়। তাই কোন কথা দু‘আ হিসাবে আর কোনটা বদ দু‘আ হিসাবে কবুল হয় তা বলা যাবে না। ছাত্রদের বেত্রাঘাতও করবেনা।

শিক্ষকের দায়িত্ব:

১. শিক্ষক হওয়ার পূর্বে কোন শাইখে কামেলের নিকট সংশোধিত হওয়ার চেষ্টা করবে। (কসদুস সাবীল: ৪৯ (বাংলা)

২. ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। কেননা তারা নিজেদেরকে আপনার নিকট সোর্পদ করেছে, যেন আপনি আপনার শস্য ক্ষেতে খুব আগ্রহের সাথে কাজ করতে পারেন।

৩. সব কাজ থেকে ফারেগ হয়ে কিছু সময় নির্জনে স্বীয় নফসের হিসাব-কিতাব করবে। যথা: আমি আল্লাহ তা‘আলার হুকুমসমূহ কী কী পূর্ণ করেছি? কোন কোন নিষিদ্ধ বস্তু বর্জন করেছি? শিক্ষা-দীক্ষায় আমার কী কী ত্রুটি প্রকাশ পেয়েছে? আল্লাহ তা‘আলার পছন্দনীয় কাজ করতে সক্ষম হলে অন্তরের অন্তস্থল থেকে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। আর গুনাহে লিপ্ত হলে অন্তর থেকে তাওবা ও ইস্তিগফার করবে।

৪. দাড়ী-গোফ বিহীন সুশ্রী বালকের সাথে নির্জনতা অবলম্বন থেকে খুব সতর্ক থাকবে। আর প্রকাশ্যেও প্রয়োজনাতিরিক্ত কথা-বার্তা বলবে না। তাদের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে দৃষ্টিপাত করবে না এবং তাদের কথা নফসের তাকাযার সাথে শুনবে না। কেননা সুশ্রীবালক পূজার( আকর্ষণ) ব্যাধি এভাবেই সৃষ্টি হয়। প্রথমে একদম খবর থাকে না। আর যখন শিকড় মজবুত হয়ে যায় তখন তাদের থেকে পৃথক হওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

৫. যদি ছাত্রদের কনো কথা বা কাজ তরবিয়তের বিপরীতে হয় এবং বিরক্তির উদ্রেক করে তাহলে এটা চিন্তা করবে যে, তাদের দ্বারা আমার দ্বীনের অনেক উপকার হচ্ছে, মাফ করে দিবে। মাফ করার দ্বারা আল্লাহ পাকের আরো বেশী নৈকট্য নসীব হবে।যদি কোন ছাত্র মাদরাসা থেকে চলে যায় তাহলে মন খারাপ করবে না, পেরেশান হবে না যে, আমার সুনাম চলে গেল!! এখন আমার দিন কিভাবে কাটবে? আর ঐ ছাত্র বা তার অভিভাবকদের কখনো খোশামদ করবে না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে। (মাজালিসে আবরার-২২৬)

তারবিয়াত:

১. নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। যাতে ছাত্রদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর দ্বারা লৌকিকতা বা বানোয়াটি উদ্দেশ্য যেন না হয়।

২. যে ব্যাপারে আপনি ছাত্রদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ফেলতে চান ঐ ব্যাপারে আপনি নিজে প্রথমে আমলকারী বনে যাবেন।

৩. সব সময় দু‘আ করবেন : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তা‘লীম-তারবিয়াত ও সংশোধনের পদ্ধতি শিখিয়ে দিন এবং এতে বরকত নসীব করুন। কবুল করুন। সংশ্লিষ্ট সকলকে ইলম ও আমল দান করুন। এবং তাদের ভিতর-বাহিরকে পরিশুদ্ধ করে দিন।

৪. সর্ব বিষয়ে দ্বীনের পাবন্দীর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

৫. ছাত্রদের মধ্যে এমন মানসিকতা গড়ে তুলবে যেন তারা হক কথা মেনে নেয়, হঠকারিতা না করে। (মাজালিসে আবরার: ২২৩)

আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

Loading