আরবী তারিখঃ এখন ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় দুপুর ১২:২৫ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

শাইখুল হিন্দ রহ. ইলম আমলে উঁচু মাকামের অধিকারী ছিলেন

আল্লামা শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা ইলম আমলে ছিলেন উঁচু মাকামের অধিকারী৷ সর্বোচ্চ শিখরে৷ বিনয়েও ছিলেন তেমনি৷ হযরতের ঘটনা৷ বর্ণনা করেন হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লত আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা৷

আল্লামা শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা মুরাদাবাদ সফরে যান৷ সেখানের লোকেরা হযরতকে বয়ান করার জন্যে জোরালো আবদার জানালো৷

ওয়াজের বিষয়ে হযরতের অভ্যাস নেই বলে তিনি অপরাগতা জানালেন৷ কিন্তু লোকেরা নাছোড় বান্দা৷ জোরালো আবদার ওয়াজ করতেই হবে৷ তো, হযরত কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আবদার রক্ষার্থে ওয়াজ শুরু করলেন৷ ওয়াজের শুরুতে فَقِيْهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَي الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ এই হাদীস পড়লেন৷ হাদীসটির অনুবাদে বললেন- একজন ফকীহ শয়তানের উপর এক হাজার আবেদ থেকে বেশি ভারি৷

মজলিসে একজন বড় প্রসিদ্ধ আলেম ছিলেন৷ তিনি দাঁড়িয়ে বললেন- আপনার অনুবাদ ভুল হয়েছে৷ আর যিনি অনুবাদে ভুল করেন তাঁর জন্যে ওয়াজ করা জায়েজ নয়৷ এই কথা শুনে শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা চুপ হয়ে বসে যান৷ ওয়াজ বন্ধ করে দেন৷ এবং লোকজনকে বললেন- আমি তো আগেই বলেছিলাম যে, আমি ওয়াজ করতে পারি না৷ এখন তো দেখলেন আমি যে ওজর পেশ করেছিলাম তার উপযুক্ত প্রমাণও পাওয়া গেলো৷

তারপর শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা ছাত্রসুলভ জানার জন্যে সেই মাওলানা সাহেবকে বললেন- আচ্ছা! তাহলে আমার ভুলটা কী ছিলো বলে দিন৷ যেনো সামনে এধরনের ভুল করা থেকে বেঁচে থাকতে পারি৷ তখন মাওলানা সাহেব বললেন- أشد এর অনুবাদ أثقل (বেশি ভারি) হবে না৷ বরংأشد এর অনুবাদ أضر (বেশি ক্ষতিকর) এই অর্থ আসে৷

এই উত্তর শুনে শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা আনহুর অন্তরে জোশ চলে আসে৷ বিনয়ের সাথে ঐ আলেমের কাছে জানতে চাইলেন- আচ্ছা, এই أشد শব্দটি হাদীসে ওহীর মধ্যেও এসেছে৷ যেমন, يَأْتِيْنِيِ مِثْلَ صِلصِلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّ عَلَيَّ তাহলে এখানেও কী অনুবাদ أضر (বেশি ক্ষতিকর) এই অর্থ করা হবে৷ তখন তো অর্থ হবে ওহী হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্যে বেশি ক্ষতিকর ছিলো৷ আল ইয়াযু বিল্লাহ৷ এই ব্যাখ্যা শুনে ঐ আলেম একদম মাথা নিচু করে ফেলেন৷ মূলত শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা এই ব্যাখ্যা দ্বারা ঐ আলেমকে বুঝাতে চাইলেন- আমি যে অনুবাদ করেছি সেটিই সঠিক অনুবাদ৷ [মূলসূত্র: আকাবিরে দেওবন্দ কিয়া থে]

Loading