আরবী তারিখঃ এখন ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৩ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ মঙ্গলবার, সময় দুপুর ১:০৪ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

মুজতাহিদ হতে হলে কেমন গুনাবলীর অধিকারী হতে হবে?

ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ ও সর্বজনগৃহীত মুহাক্কিক শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী (রহ.) প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম বাগাবী (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইজতিহাদের জন্য কমপক্ষে পাঁচটি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে এ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হতে একটিও কম থাকবে, তার জন্য কোনো মুজতাহিদ ইমামের গবেষণালব্ধ ফতুয়ার তাক্বলীদ করা ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ নেই।

(সূত্র: কানজুল উসূল ইলা মা’রিফাতিল উসূল- ২৭০, উসূলে ফিক্বাহ লি আবি হুরায়রা- ২৩৬, আল মালাল ওয়ান নাহাল- ১/২০০ ; মিশরী ছাপা)।

শর্তাবলী সমূহ

১. কোরআনের কোন আয়াত কখন নাজিল হয়, কোন আয়াত নাছেখ (রহিতকারী), কোন আয়াত মানছুখ (রহিত), কোন আয়াত মুজমাল (সংক্ষিপ্ত), কোন আয়াত মুতাশাবেহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সবিস্তারে জানার সাথে সাথে কোরআনের নিগুঢ় তথ্যগুলোর সঠিক মর্মগুলি বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকা।

২. পবিত্র ত্রিশ পারা কোরআনের ব্যাখ্যায় রাসূলেপাক (সা) কর্তৃক রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীস সনদের ভিন্নতাসহ জানা আবশ্যক। আর হাদীসের এ বিশাল ভান্ডার থেকে কমপক্ষে যেসব হাদীস দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধান সাব্যস্ত হয়, সেসব হাদীস সনদ (বর্ণনাকারী), মতন (মূল বিষয়) এবং উক্ত হাদীস সমূহের বর্ণনাকারীদের জীবন ইতিহাস (সাহাবা ও তাবেয়ীনদের জীবনাচার) সহ কন্ঠস্থ থাকা। পাশাপাশি হাদীসের নিগুড় তথ্যাদি, সঠিক মর্মকথা বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকা। যাতে করে মতবিরোধ বিশিষ্ট মাসআলা সমূহে কোরআন, হাদীস, সাহাবা ও তাবেয়ীনদের নির্দেশিত সীমা অতিক্রম না হয়ে যায়।

৩. মুজতাহিদ আরবী ভাষা সম্পর্কে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হওয়া। কেননা কোরআন ও হাদীস উভয়টি আরবী ভাষায়। তাই আরবী ভাষা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা ছাড়া ইজতিহাদ তো দূরের কথা, শুধু কোরআন-হাদীসের অর্থ বুঝাও সম্ভবপর নয়। আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য আরবী আভিধানিক অর্থ ও পারিভাষিক অর্থ, নাহু- ছরফ, উসূল, বালাগাতের পূর্ণ দক্ষতা অপরিহার্য।

৪. মুজতাহিদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বুদ্ধিমত্তা ও অন্তর্দৃর্ষ্টি দ্বারা বিশেষভাবে ভূষিত হয়ে অত্যাধিক স্মরণশক্তি ও জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া। মুজতাহিদের জন্য কেবল সাধারণ বুদ্ধিমত্তাই যথেষ্ট নয়। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তো সকল আলেমেরই থাকে। এতে মুজতাহিদদের বিশেষ গুরুত্ব আর রইল কোথায়? মুজতাহিদ তাক্ওয়া ও খোদাভীতি সম্পন্ন হতে হবে। তাকে কখনও মনপূজারী হওয়া চলবে না।

৫. ইজতিহাদ ও মাসআলা চয়নের প্রক্রিয়া সমূহের উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখা। (সূত্র : তাফসীরে আহমদী, পৃষ্ঠা- ১০১)

Loading