আরবী তারিখঃ এখন ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ১০:৫৯ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

উভয় জাহানে সফলতার নীতিমালা, -হযরতওয়ালা শাহ আবরারুল হক হরদুঈ রহঃ

পবিত্র কোরআনে উভয়জাহানে সফলতা ও কামিয়াবীর নীতিমালা বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে একটি হলো অহেতুক কথা থেকে বেঁচে থাকা ৷ যারা অহেতুক কথা থেকে বেঁচে থাকে ৷ অহেতুক কথার অর্থ হলো যার মধ্যে দুনিয়াবী কোনো উপকার নেই আবার দ্বীনি কোনো লাভও নেই ৷ যেমন মানুষ নিজের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা নিয়ে খুব চিন্তা-ফিকির করে নিজের জরুরতে খরচ করে ৷ কোনো লোক টাকা খরচ করে অহেতুক জিনিস নেয় না ৷ যারা এরূপ করবে তাদের বেকুব বলা হয় ৷ তেমনি মানুষের জীবন এবং সময়ও সম্পদ ৷ বরং জাগতিকসম্পদ থেকে মূল্যবান ৷ টাকা-পয়সা তো আসে আর যায় ৷ ধন-সম্পদ নষ্ট হওয়ার পর আবার পাওয়া যেতে পারে ৷ কিন্তু জীবন এবং সময় যদি অহেতুক নষ্ট হয়, অনর্থক কাজে ব্যয় হয় তবে ব্যয়িত সময় আর ফিরে আসবে না ৷

টাকা খরচ করার সময় যেমন দেখা হয় এর বদলাতে কী পাওয়া যাচ্ছে ৷ তেমনি সময় ব্যয় করার ক্ষেত্রে দেখতে হবে কোন কাজে ব্যয় হচ্ছে ৷ এর বদলাতে কী আয় করা হচ্ছে ৷ যদি এরূপ চিন্তা-ভাবনা থাকে তবে মুক্তি ও কামিয়াবী অর্জন সহজ হয়ে যাবে ৷

বিশেষ করে কথা বলার ক্ষেত্রে বেশি বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে
হবে ৷ বরং চুপ থাকাতেই উপকার বেশি ৷ হাদীস শরীফে এসেছে যে চুপ থাকল সে
নাজাত পেল ৷
যেখানে কথা বলার প্রয়োজন, সেখানে জরুরতমাফিক কথা বলা উচিত ৷

জনৈক অন্ধ লোক আসছে ৷ তার সামনে একটি বড় গর্ত ৷ তখন যদি আমরা তাকে অবহিত না করি তবে সে গর্তে পড়ার সম্ভাবনা। এরূপ ক্ষেত্রে বলা জরুরি ৷

আসলে বর্তমানে আমরা সব ক্ষেত্রে বুযুর্গদের মধ্যে তুলনা করতে চাই ৷ একেকজনের ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সামঞ্জস্য করতে চাই ৷ এসব ঠিক না ৷

সুতরাং এরূপ বিষয়ে প্রশ্ন তো দূরের কথা বরং আলোচনা করাও অহেতুক।

♦ শাহ আবরারুল হক হক্কী হরদুয়ী (রহ:)

Loading