আরবী তারিখঃ এখন ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় দুপুর ১:৩৩ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

আরবে পীরমুরীদী সম্পর্কে মাওলানা আব্দুল হাফিজ মাক্কী রহ. এর অভিমত

নাহমাদুহু অনুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম, আম্মা বাদ! সৌদি আরবকে বদনাম করার জন্য অনেক মানুষ আশ্চার্য কথা বলে। কেউ সরল ও মুর্খতার কারণে, আবার কেউ বা গোড়ামীর কারণে। বিশেষত সৌদি আরবের তাকলীদ ও সুলূকের ব্যাপারে মতামত হল, ধর্ম তাদের ইসলাম, তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিশ্বাসী। আর ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এর অনুসারী। ফলে শিক্ষানীতি ও বিচার পদ্ধতিতে তারা চার মাজহাবের বিরোধী কোন কানুন পাশ করে না। কিন্তু শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহাব সরকারী পদস্থ ব্যক্তি ও গোড়া হাম্বলী হওয়ার কারণে সরকার হাম্বলী মাযহাব গ্রহণ করেছে। বস্তুত শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দীল ওহাব তার পরিবারবর্গ ও হক্কানী ওলামাগণ শরীয়ত সম্মত সঠিক পীর মুরীদি ও তাছাওউফের বিরোধী নন। তাদের বড় বড় আকাবির যেমন শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাইমিয়া (রহ.) ও ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) প্রমুখের কিতাব ও মতামত এর প্রমাণ বহন করে।

সৌদি সরকার অনেক টাকা খরচ করে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) এর ফতোয়া ছেপেছে। যার দুইটি খন্ড সুলূক ও তাসাওউফ সম্পর্কে লিখিত, যে দুই খন্ডে শরীয়ত সম্মত সঠিক পীর মুরীদি ও তাসাওউফকে স্পষ্ট ভাবে সমর্থন করা হয়েছে। আর বিদায়াত ও কুপ্রথাকে চিহ্নিত করে খন্ডন করা হয়েছে। শায়েখ ইবনে তাইমিয়ার “মানাঝিলুছ ছায়েরীন” এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা, “মাদারিজুছ ছালিকিন” কিতাবটি পীর মুরীদি ও তাসাওউফ সম্পর্কে লিখা হয়েছে।

অন্যদিকে সৌদি সরকার ও সৌদি ফাতোয়া বিভাগের পক্ষ থেকে প্রসিদ্ধ পীর মাশায়েখের আধ্মাতিক কিতাব সমূহ যেমন ইমাম গায্‌যালী (রহ.) এর “ইহইয়াউল উলুমুদ্দিন” এবং ইমাম কুশাইরী (রহ.) এর “রিছালা কুশাইরিয়া” এবং শায়েখ সহরাওয়ারদী (রহ.) এর “আওয়ারিফুল মায়ারিফ” এবং ইমাম আবু তালিব মাক্কী (রহ.) এর “কুয়্যাতুল কুলুব” ইত্যাদি কিতাব সমূহ ছেপেছে। আর এধরনের কিতাব সমুহ বিদেশ থেকে আমদানী করা ও তা প্রচার করা বা দোকানজাত করার জন্য অনুমতি দিয়ে সরকারী বিল পাশ করা হয়েছে।

তবে আরবের কিছু সংখ্যক নির্বোধ লোকেরা পীর মুরীদি ও তাছাওউফের বিরোধীতা করে আসছে। আজও তারা আছে, সব জামাতের সাথে সর্বদা এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকে। তাই তেমন সব লোক সৌদি আরবেও পাওয়া যায়। আর দূর্ভাগ্যবশত বড় পদস্থ কর্মকর্তারাও তাদের ভিতর রয়েছে। যার কারণে সরল লোকেরা তাদের দেখে ধোকায় পড়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে সৌদি আরবের ভদ্র ও আলেম সমাজের লোকেরা টুকিটাকি মতভেদ বাদ দিয়ে সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করেন। সুতরাং উল্ল্লেখিত প্রশ্ন ও তার উত্তরসমূহ বাস্তব ঘটনার প্রমাণ বহন করে। এর ভিতর সন্দেহ পোষণকারী হয়ত সে অজ্ঞ বা সঠিক চিন্তাশীল নয়। বিনীতঃ আব্দুল হাফিজ

(মদিনা মুনাওয়ারা) ২৫ রবিউল আওয়াল ১৪০১ হি,।

Loading