আরবী তারিখঃ এখন ৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ১৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ মঙ্গলবার, সময় সকাল ১১:০৬ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ বাংলাদেশ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

نحمده ونصلي على رسوله الكريم اما بعد

রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্ব বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের একটি শাখা বা দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শে আদর্শিত, তাই দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য–উদ্দেশ্যই রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ এর লক্ষ্য–উদ্দেশ্য।

রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

১. ইশাআতে দ্বীন বা ইসলামের ব্যাপক প্রচার-প্রসার জারী রাখার চেষ্টা করা ও তাহাফফুযে ইসলাম বা ইসলামের সঠিক সংরক্ষন করতে থাকা।
২. রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল সুন্নত সমূহের ব্যাপক প্রচার-প্রসার করা। মাদরাসা-মসজিদ, ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে সকল সুন্নত সমূহের মশকে আমলী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ (প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং) এর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সুন্নতের খেদমত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
৩. আযান ও ইকামত, নামায ও তিলাওয়াত, ইত্যাদি শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ কিভাবে উম্মত সুন্নত তরিকায় করতে পারে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার ফিকর করা।
৪. রহমানিয়া মাদরাসার প্রত্যেক ছাত্র-উস্তাদকে শুধু ত্বলিবে ইলম হিসেবে নয় বরং ত্বলিবে ইলম ও আমল হিসাবে তৈরি করার চেষ্টা করা। মাদরাসার ভেতরগত ও বহিরাগত পরিবেশকে ইলমে নবুওয়াত এর পাশাপাশি নুরে নবুওয়াত দ্বারা সাজানোর চেষ্টা করা।
৫. রহমানিয়া মাদরাসার ছাত্র-উস্তাদসহ মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই বিশেষভাবে মাদরাসার দোস্ত-আহবাবগণ কিভাবে আল্লাহওয়ালা হতে পারে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করা।
৬. নিজেদের মনগড়া চিন্তা-চেতনা বাদ দিয়ে পূর্ববর্তী আসলাফ ও আকাবীরগনের চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়ন করার ফিকর করা। সর্বময় জনসাধারণকে দুনিয়া থেকে আখেরাতমুখী, দুনিয়ার প্রকাশ্যমান বস্তুসমূহ থেকে আমল মুখী ও মাখলুক থেকে আল্লাহমুখী করার ধারা অব্যাহত রাখা।
৭. রহমানিয়া মাদরাসার আশপাশের এলাকা ও এলাকার বাইরে অত্র মাদরাসার আদর্শ ও নীতি অনুসারে মহল্লা ভিত্তিক ছোট ছোট মকতব কায়েম করা, যেন জনসাধারণ এবং শিশু-কিশোররা উক্ত মকতব থেকে পবিত্র কুরআনে কারীম সহিহ ও শুদ্ধভাবে শিখতে পারে, আমল করতে পারে।

দারুল উলুম দেওবন্দের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য দুইটিঃ

১. ইশাআতে ইসলাম বা ইসলামের ব্যাপক প্রচার-প্রসার।

২. তাহাফফুযে ইসলাম বা ইসলামের সঠিক সংরক্ষন।

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ. বলেনঃ

আমাদের তালিমের উদ্দেশ্য হলো এমন ব্যক্তিত্ব তৈরি করা, যাদের দেখতে হিন্দুস্থানী হলেও মূলত তারা ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হবেন।

৩১ মে ১৮৬৬ ইং মুতাবিক ১৫ মুহাররম ১২৮৩ হিজরী রোজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়, দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ মাদ্রাসার প্রথম ছাত্র শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ. বলেনঃ

আমাদের উস্তাদ হযরত মাওলানা কাসেম নানুতুবী রহ. কি দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা শুধু দরস-তাদরীস ও তালীম-তাআল্লুম এর জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? দারুল উলুম দেওবন্দ তো আমার সামনেই প্রতিষ্ঠা করা হয়, আমি যতোটুকু জানি ১৮৫৭ ইং এর পরাজয়ের পর দারুল উলুম দেওবন্দ এজন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যে, এমন একটি কেন্দ্র তৈরি হোক যার মধ্যে এমন এমন ব্যাক্তি তৈরি করা হবে, যেন তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৮৫৭ ইং এর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়।

জাঁনসিনে শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যিদ আরশাদ মাদানী দামাত বারাকাতুহুম বলেনঃ

দারুল উলুম দেওবন শুধু একটি মাদ্রাসা নয় বরং এটি একটি আন্দোলন, এবং যারা এটাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা ১৮৫৭ ইং এর আন্দোলনে শরিক ছিলেন, তাদের কাছে দারুল উলুম দেওবন্দের খিদমত পৌঁছে দেয়ার জন্য এবং এর মাধ্যমে মানুষের উপকার যেন ব্যাপকতা লাভ করে এর জন্য হিন্দু মুসলমানের কোন পার্থক্য ছিল না। অর্থাৎ ব্যক্তি হিন্দু হোক বা মুসলমান দারুল উলুম দেওবন্দ এর মাধ্যমে অবশ্যই যেকোনোভাবে উপকৃত হবে।

اصول ہشت گانہ

اصل اول یہ ہے کہ تا مقدور کارکنان مدرسہ کی ہمیشہ تکثیر چندہ پر نظر رہے، آپ کوشش کریں اور وں سے کرائیں خیراندیشان کو یہ بات ہمیشہ ملحوظ رہے۔

ابقاء طعام بلکہ افزائش طعام طلبہ میں جس طرح ہوسکے خیراندیشان مدرسہ ساعی رہیں۔

مشیران مدرسہ کو ہمیشہ یہ بات ملحوظ رہے کہ مدرسہ کی خوبی اور اسلوبی ہو، اپنی بات کی پچ نہ کی جائے، خدا نخواستہ جب اس کی نوبت آئے گی کہ اہل مدرسہ اہل مشورہ کو اپنی مخالفتِ رائے اور اوروں کی رائے کے موافق ہونا ناگوار ہو تو پھر اس مدرسہ کی بناء میں تزلزل آجائے گا۔ القصہ تہِ دل سے بروقت مشورہ اور نیز اس کے پس و پیش میں اسلوبیٴ مدرسہ ملحوظ رہے، سخن پروری نہ ہو، اور اس لیے ضروری ہے کہ اہل مشورہ اظہارِ رائے میں کسی وجہ سے متامل نہ ہوں اور سامعین بہ نیت نیک اس کو سنیں، یعنی یہ خیال رہے کہ اگر دوسرے کی بات سمجھ میں آجائے گی تو اگرچہ ہمارے مخالف ہی کیوں نہ ہو بدل و جان قبول کریں گے اور نیز اس وجہ سے یہ ضروری ہے کہ مہتمم امورِ مشورہ طلب میں اہل مشورہ سے ضرور مشورہ کیا کرے خواہ وہ لوگ ہوں جو ہمیشہ مشیرِ مدرسہ رہتے ہیں یا کوئی وارد و صادر جو علم و عقل رکھتا ہو اور مدرسوں کا خیر اندیش ہو، اور نیز اسی وجہ سے ضروری ہے کہ اگر اتفاقاً کسی وجہ سے کسی اہل مشورہ سے مشورہ کی نوبت نہ آئے اور بقدر ضرورت اہل مشورہ کی مقدار معتد بہ سے مشورہ کیا گیا ہو تو پھر وہ شخص اس وجہ سے ناخوش نہ ہو کہ مجھ سے کیوں نہ پوچھا، ہاں اگر مہتمم نے کسی سے نہ پوچھا تو پھر اہل مشورہ معترض ہوسکتے ہیں۔

یہ بات بہت ضروری ہے کہ مدرسین باہم متفق المشرب ہوں اور مثل علماء روزگار خود بیں اور دوسروں کے درپئے توہین نہ ہوں۔ خدا نہ خواستہ جب اس کی نوبت آئے گی تو پھر اس مدرسہ کی خیر نہیں۔

خواندگی مقررہ اس انداز سے ہو جو پہلے تجویز ہوچکی ہو یا بعد میں کوئی انداز مشورے سے تجویز ہو ورنہ یہ مدرسہ اول تو خوب آباد نہ ہوگا اور اگر آباد ہوگا تو بے فائدہ ہوگا۔

اس مدرسہ میں جب تک آمدنی کی کوئی سبیل یقینی نہیں جب تک یہ مدرسہ ان شاء اللہ بشرط توجہ الی اللہ اسی طرح چلے گا اور اگر کوئی آمدنی ایسی یقینی حاصل ہوگئی جیسی جاگیر یا کارخانہ تجارت یا کسی امیر محکم القول کا وعدہ تو پھر یوں نظر آتا ہے کہ یہ خوف و رجاء جو سرمایہ رجوع الی اللہ ہے ہاتھ سے جاتا رہے گا اور امداد غیبی موقوف ہوجائے گی اور کارکنوں میں باہم نزاع پیدا ہوجائے گا، القصہ آمدنی اور تعمیر وغیرہ میں ایک نوع کی بے سروسامانی ملحوظ رہے۔

سرکار کی شرکت اور امراء کی شرکت بھی زیادہ مضر معلوم ہوتی ہے۔

تامقدور ایسے لوگوں کا چندہ موجب برکت معلوم ہوتا ہے جن کو اپنے چندہ سے امید ناموری نہ ہو، بالجملہ حسن نیت اہل چندہ زیادہ پائیداری کا سامان معلوم ہوتا ہے۔

دارالعلوم دیوبنداوراس کے منہاج پر جاری دیگر مدارس دینیہ کے اصول و مقاصد کو حجة الاسلام مولانا نانوتوی قدس سرہ نے اساسی اصول ہشتگانہ کے عنوان سے خود تحریر فرمایا تھا، جو ماہنامہ القاسم ، محرم ۱۳۴۷ھ کے دارالعلوم نمبر میں شائع بھی ہوچکا ہے۔