আরবী তারিখঃ এখন ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ২:২০ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

বেহেশতী জিওরের লেখক হযরত থানবী রহ. নয়, বরং জনৈক মাওলানা আহমদ আলী রহ.

বেহেশতী জেওর মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর কিতাব নয়। তেমনি আল মুনাব্বিহাত হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী রহ. এর কিতাব নয়। যদিও তার নামে প্রসিদ্ধ।

হযরত থানবী রহঃ এর নিজের লেখা ও তার ভাগিনা হযরতুল আল্লাম মুফতী যফর আহমাদ উসমানী রহঃ এর লিখনী প্রমান করে বেহেশতী জেওর মাওলানা থানভীর নয়। যদিও তার নামে এটি প্রসিদ্ধ।

প্রমানঃ ১. মাকতাবাতুল বুশরা প্রকাশনী করাচি পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত বেহেশতী গাওহারের রোযা অধ্যায় এর ১৬৭ পৃষ্ঠার নিচে লিখিত একটি টিকায় হযরত যফর আহমাদ উসমানী রহঃ পরিস্কার লিখেছেনঃمولوى احمد على صاحب مؤلف بہشتی زیور অর্থাৎ মৌলভী আহমাদ আলী সাহেব বেহেশতী জেওরের সংকলক। [বেহেশতী গাওহার, রোযা অধ্যায়, ১৬৭ পৃষ্ঠা, প্রকাশনী, মাকতাবাতুল বুশরা, করাচি, পাকিস্তান]

ঠিক একই টিকা সংযোজিত হয়েছে আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর ফাতওয়া গ্রন্থ “ইমদাদুল ফাতাওয়া” যাকারিয়া বুক ডিপো দেওবন্দ ছাপায় ২য় খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় এবং দারুল উলুম করাচি প্রকাশনায় ২য় খন্ডের ১৬৬ পৃষ্ঠায়। কিতাবটি পাকিস্তানের মুফতীয়ে আজম মুফতী শফী রহঃ এর তারতীবক্রমে ছেপেছে।যা পরিস্কার প্রমাণ করে বেহেশতী জেওরের মূল সংকলক হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ নন। বরং “আহমদ আলী” নামের একজন মাওলানা সাহেব।

২. আরো স্পষ্ট বক্তব্য দেখুন খোদ মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ থেকে।ইমদাদুল ফাতাওয়ার দ্বিতীয় খন্ডের রোযা অধ্যায়ে বেহেশতী জেওরে উদ্ধৃত রোযার কাফফারা সংক্রান্ত একটি মাসআলা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সে প্রশ্নের জবাবে থানবী রহঃ লিখেনঃ بہشتی زیور کی سند میں تو اس وقت کوئ روایت نہیں ملی مولوی احمد علی صاحب مرحوم نے معلوم نہیں وہ مسئلہ کہا سے لکها বেহেশতী জেওরে উল্লেখিত মাসআলার পক্ষে এখন পর্যন্ত কোন বর্ণনা পাইনি। জানা নেই এ মাসআলা মাওলানা আহমাদ আলী কোত্থেকে লিখেছেন! [ইমদাদুল ফাতওয়া, যাকারিয়া বুক ডিপো দেওবন্দ, দ্বিতীয় খন্ড, ১৩৬ পৃষ্ঠা, মাকতাবা দারুল উলুম করাচি, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৬]

হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর নিজের বক্তব্য এবং হযরত যফর আহমাদ উসমানী রহঃ এর বক্তব্য অনুপাতে একথা পরিস্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, বেহেশতী জেওরের সংকলক আশরাফ আলী থানবী রহঃ নয়। বরং “আহমদ আলী” নামে একজন মাওলানা এ কিতাবের আসল সংকলক। কিন্তু সংকলক হিসেবে আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর নাম গলত মশহুর হয়ে গেছে।

Loading