আরবী তারিখঃ এখন ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ১০:৩০ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পড়া কেমন?

ইসলামে ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। হাদিসে নামাজকে ইসলাম ও কুফুরের মাঝে পার্থক্য সাব্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকন হলো কিরাআতে ফাতিহা। কিন্তু সূরা ফাতিহা পাঠ করা নামাযে কার উপর পড়া আবশ্যক?আল্লাহ তা’আলা বলেন-وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٧:٢٠٤আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শ্রবণ কর এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। {সূরা আরাফ-২০৪}

এ আয়াত সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস রা. এর বক্তব্য তাফসীরে তাবারী (৯খ. ১০৩পৃ.) ও তাফসীরে ইবনে কাসীরে (২খ. ২৮পৃ.) এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে-وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا لعلكم ترحمون ” يعني في الصلاة المفروضةঅর্থ : যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি করুণা করা হয় অর্থাৎ ফরজ নামাযে।ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.এ আয়াত সম্পর্কে বলেন-أجمع الناس على أن هذه الآية في الصلاة মানুষ এ কথার উপর একমত যে, এ আয়াত নামায সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব , হাসান, ইবরাহিম, ইমাম যুহরী থেকে বর্ণিত যে আয়াতটি নামাযের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। এবং যায়েদ ইবনে আসলাম ও আবুল আলিয়া রহ. বলেন-সাহাবায়ে কেরাম ইমামের পিছনে কেরাআত পড়তেন তখন এ আয়াত নাযিল হয়।

ইমাম আহমদ রহ.- আবু দাউদের বর্ণনায়-বলেন- এ বিষয়ে মানুষের ইজমা হয়েছে যে, এ আয়াত নামায সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। এ ছাড়াও আয়াতটি ব্যাপক যা নামাযকেও অন্তর্ভুক্ত করে। ইবনে কুদামা,আলমুগনী-২/১১৭হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর মতও তাই। তাফসীরে তাবারীতে বলা হয়েছে:صلى ابن مسعود، فسمع أناسا يقرءون مع الامام، فلما انصرف، قال: أما آن لكم أن تفقهوا ؟ أما آن لكم أن تعقلوا ؟ وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا كما أمركم اللهঅর্থাৎ হযরত ইবনে মাসঊদ রা. নামায পড়ছিলেন, তখন কতিপয় লোককে ইমামের সঙ্গে কেরাত পড়তে শুনলেন।

নামায শেষে তিনি বললেন : তোমাদের কি অনুধাবন করার সময় আসেনি, তোমাদের কি বুঝার সময় হয় নি? যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন। তাফসীরে তাবারী- ৯/১০৩ ইমাম ইবনে তায়মিয়া রহ.বলেন, فَإِنَّ لِلْعُلَمَاءِ فِيهِ ثَلَاثَةَ أَقْوَالٍ . قِيلَ : لَيْسَ لَهُ أَنْ يَقْرَأَ حَالَ جَهْرِ الْإِمَامِ إذَا كَانَ يَسْمَعُ لَا بِالْفَاتِحَةِ وَلَا غَيْرِهَا وَهَذَا قَوْلُ الْجُمْهُورِ مِنْ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ وَهَذَا مَذْهَبُ مَالِكٍ وَأَحْمَد وَأَبِي حَنِيفَةَ وَغَيْرِهِمْ وَأَحَدُ قَوْلَيْ الشَّافِعِيِّ . وَقِيلَ : بَلْ يَجُوزُ الْأَمْرَانِ وَالْقِرَاءَةُ أَفْضَلُ . وَقِيلَ : بَلْ الْقِرَاءَةُ وَاجِبَةٌ وَهُوَ الْقَوْلُ الْآخَرُ لِلشَّافِعِيِّ . وَقَوْلُ الْجُمْهُورِ هُوَ الصَّحِيحُ فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ قَالَ : { وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ } قَالَ أَحْمَد : أَجْمَعَ النَّاسُ عَلَى أَنَّهَا نَزَلَتْ فِي الصَّلَاةِঅর্থাৎ এ ক্ষেত্রে আলেমগণের তিনটি মত রয়েছে। এক, কেউ কেউ বলেছেন, ইমাম যখন জোরে কেরাত পড়বে তখন মুক্তাদি তা শুনবে, এবং সে কোন কেরাআতই পড়তে পারবে না। সূরা ফাতেহাও না, অন্য কোন সূরাও না।পূর্বসুরী ও পরবর্তী যুগের অধিকাংশ আলেমের মত এটাই। ইমাম মালেক র.,ইমাম আহমাদ র. ও ইমাম আবূ হানীফা র. প্রমুখের মাযহাবও তাই। আর ইমাম শাফেয়ী র. এর দুটি মতের একটিও অনুরূপ।অতঃপর অন্য দুটি মত উল্লেখ করার পর ইবনে তায়মিয়া রহ.আরও বলেন, জমহুরের মতটিই সঠিক। কারণ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَঅর্থাৎ যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে শ্রবন কর এবং নীরব থাক। তাহলে তোমাদের প্রতিও করুণা করা হবে। মুসলিম শরীফে আছে-فقال له ابو بکر فحدیث أبی هریرة؟ فقال هو صحیح یعنی واذا قرأ فأنصتوا. فقال هو عندی صحیح.(باب التشهد فی الصلاة)

আবু বকর রহ. ইমাম মুসলিম রহ.কে জিজ্ঞাসা করেন- তো আবু হুরায়রা রা.এর হাদিস? উত্তরে ইমাম মুসলিম রহ. বলেন-[ ইমাম যখন কিরাআত পড়বে, তখন তোমরা চুপ থাকো ] আবু হুরাইরা রা.এর এ হাদিসটি আমার দৃষ্টিতে সহীহ।(সহীহ মুসলিম-১/১৭৪, বাবুত তাশাহহুদ ফিস সালাত)

কুরআনের উপরোক্ত আয়াত ও রাসুলের হাদিসের মাঝে সমন্বয় করলে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মুক্তাদী ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়বে না। চাই তা সিররী নামায হোক বা জাহরী নামায। কারণ সহীহ মুসলিমের হাদিসে সরাসরি মুক্তাদিকে ইমামের কিরাআত চলাকালিন চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সেখানে ইমাম কিরাআত জোরে পড়লো,না নিরবে পড়লো এবং মুক্তাদি ইমামের কিরাআত শুনলো,কি শুনলো না; এর কোনো ব্যবধান করা হয়নি।একই ভাবে কুরআন শরীফেও কোনো ব্যবধান করা হয়নি। সুতারাং সর্বাবস্থায় এবং সব ধরণের নামাযেই মুক্তাদি ইমামের পিছনে কিরাআত থেকে বিরত থাকবে। এটাই কুরআন ও সহীহ হাদিসের নির্দেশ।

আর এর উপরই হানাফি মাযহাবের আমল।কিন্তু বুখারী শরীফে আরেকটি হাদিস রয়েছে,যেখানে রাসুল সা.বলেছেন- عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ»হযরত উবাদাহ ইবনে সামিত রা.থেকে বর্ণিত, রাসুল সা.বলেছেন-যে সুরায়ে ফাতিহা পড়লো না, তার নামায নেই।(সহীহ বুখারী-১/১০৪,সহীহ মুসলিম-১/১৬৯,সুনানে তিরমিযী-১/৭০বুখারী শরীফের এ হাদিস সম্পর্কে ইমাম আবু দাউদ রহ.বর্ণনা করেন-عن عبادة بن الصامت یبلغ به النبی صلی الله علیه وسلم قَالَ: «لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ فصاعدا “(822) قال سفیان لمن یصلی وحده.(باب من ترک القراءة فی صلاته.سنن ابی داٶد)হযরত উবাদাহ ইবনে সামিত রা.থেকে বর্ণিত, রাসুল সা.বলেছেন-যে সুরায়ে ফাতিহা পড়লো না, তার নামায নেই। সুফইয়ান রহ. বলেন- এ বিধান তার জন্য প্রযোজ্য, যে একাকী নামায আদায় করবে। আবু দাউদ ১/১১৯ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.বলেন-وأما احمد بن حنبل فقال معنی قول النبی صلی الله علیه وسلم: «لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ» اذا کان وحده. (باب ما جاء فی ترک القراءة خلف الامام.سنن الترمذی)যে সুরায়ে ফাতিহা পড়লো না,তার নামায নেই। এর অর্থ হলো-যখন সে একাকী নামায আদায় করবে।তিরমিযী ১/৭১.

সুতারাং কুরআন শরীফের উপরোক্ত আয়াত ও সহীহ মুসলিমের হাদিস এবং বুখারীর উপরোক্ত হাদিসের মাঝে কোনো বিরোধ নেই। বুখারী শরীফের হাদিসে বলা হয়েছে একাকী নামায আদায়কারীর কথা। আর কুরআনের আয়াত ও সহীহ মুসলিমের হাদিসে বলা হয়েছে মুক্তাদির কথা। আর ইমামের কেরাত তো আবশ্যক যা পড়তে হবেই। এ নিয়ে কোনো মতভেদ নেই।

এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন,যে মুক্তাদির কেরাত শূন্য নামায কিভাবে আদায় হবে? এর সমাধানও রাসুল সা.এর হাদিসেই রয়েছে। রাসুল সা.বলেন-عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ»হযরত জাবের রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাআত-ইতার কিরাআত। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৫০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১২৯৪,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৩৩,মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-২৮৯৭, মুসন্নাফ ইবনে আবীশাইবা, হাদীস নং-৩৭৭৯, মুসনাদে আবী হানীফা, হাদীস নং-২৫}

হাদীসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের অভিমত –

১.আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ বলেন, এটি মারফুর চেয়েও অধিক সহীহ। {আলআহকামুল কাবীর-২/৪৭২}

২.আল্লামা বুসিরী রহঃ বলেন, এর সনদটি বুখারী মুসলিমের সনদের মতই সহীহ। {ইতহাফুল খাইরাতিল মাহরাহ-২/১৬৮}

৩.আল্লামা কামাল ইবনে হুমাম রহঃ বলেন, মুসলিমের শর্তানুপাতে এ হাদীসটির সনদ সহীহ। {শরহে ফাতহুল কাদীর-১/৩৪৬}

৪.আলবানী রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান। {সহীহ ইবনে মাজাহ, বর্ণনা নং-৬৯৯, সহীহুল জামে, বর্ণনা নং-৬৪৮৭}

৫.আলবানী রহঃ আরো বলেন, মুসনাদে আহমদ বিন মানী এর সনদ প্রমাণিত হলে এটি সহীহ ও মাউসূল, নতুবা সহীহ সনদের মুরসাল। আর তার অনেক তুরুক রয়েছে যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী করেছে। {আসলু সিফাতিস সালাত-১/৩৫৫}

৬.আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহঃ বলেন, এর অনেক তুরুক রয়েছে, যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী করেছে। {উমদাতুল কারী-৬/১৭}

৭.আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ বলেন, এর সনদ সহীহ। {শরহে মুসনাদে আবী হানীফা, বর্ণনা নং-৩০৮} অন্য এক হাদিসে রাসুল সা.বলেন-عن جابر بن عبد الله عن النبی صلی الله علیه وسلم انه قال.من صلی خلف الامام فان قراءة الامام له قراءة(باب القراءة فی الصلاة خلف الامام.موطا مالک بروایة محمدبن الحسن)যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায আদায় করলো, ইমামের কিরাআত-ই তার কিরাআত। [মুআত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ রহ.৯৮,শায়খ আওয়ামার তাহকীককৃত মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা-৩/২৭৬,ইবনে মাজাহ৬১]

আল্লামা নিমাভী রহ.বলেন-হাদিসটির সনদ সহীহ।আসারুস সুনান-১১৩,সুতারং উক্ত আলোচনার মাধ্যমে এ কথা প্রমাণিত হলো- যে মুক্তাদির নামায কিরাআত শূণ্য নয়। ইমামের কিরাআত-ই তার কিরাআত। এমনকি ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ার পরেও যদি কেউ নামাযে শরীক হয়, তাহলে তারও সুরা ফাতিহা পড়তে হবে না।ইমামের কিরাত মানেই মুক্তাদীর কিরাত। যেমন ইমামের নামায শুদ্ধ হওয়া মানেই মুক্তাদীর নামায শুদ্ধ হওয়া। ইমামের নামায অশুদ্ধ হওয়া মানেই মুক্তাদীর নামায অশুদ্ধ হওয়া।যেমন ইমামের খুতবা পড়ার মানেই হল মুসল্লিদের খুতবা পড়া হয়ে যায়। আলাদাভাবে সবার খুতবা পড়ার দরকার নেই।তেমনি ইমামের সূরা ফাতিহা ও কিরাত পড়ার দ্বারাই মুসল্লিদের পক্ষ থেকে সূরা ফাতিহা ও কিরাত পড়া হয়ে যায়, তাই মুক্তাদীর জন্য আলাদাভাবে সূরা ফাতিহা বা কিরাত পড়ার কোন দরকার নেই।

Loading