আরবী তারিখঃ এখন ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ১০:১৫ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ ইং এর মাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫ এপ্রিল ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ মে ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ জুন ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৫-২৬ জুলাই ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৯ আগষ্ট ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ২৮-২৯ নভেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৬ ডিসেম্বর ২৪ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* ৩০-৩১ জানুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার ফজর-শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত সালেকীনদের জন্য
* ২৭ ফেব্রুয়ারী ২৫ ইং বৃহস্পতিবার মাগরিব-ইশা মাদরাসার সকলের জন্য
* মার্চ ২৫ ইং এজতেমা সালেকীনদের জন্য

আহলে হাদিসরা কি খারেজী? তাদেরকে আমরা কি ভাবে চিনবো?

বর্তমানের লা-মাযহাবী দল হাদীসের ভাষ্যমতে খারেজী সম্প্রদায়!

কথিত আহলে হাদীস/শব্দধারী মুসলিম জামাত/গায়রে মুকাল্লিদীন/লামাযহাবীরা এ জমানার খারেজী!

বিশ্বাস না হলে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে রাসূল সাঃ এর জবানে বলে যাওয়া সহী সূত্রে বর্ণিত কয়েকটি হাদীস প্রথমে দেখে নিন। তারপর তাদের আমল ও আখলাকের সাথে মিলিয়ে দেখুন।

বুখারী ও আবু দাউদ থেকে খারেজী পথভ্রষ্ট জামাত সম্পর্কে রাসূল সাঃ থেকে বর্ণিত কয়েকটি হাদীস প্রথমে দেখে নেই-

عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( يخرج ناس من قبل المشرق ويقرؤون القرآن لا يجاوز تراقيهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية ثم لا يعودون فيه حتى يعود السهم إلى فوقه قيل ما سيماهم ؟ قال سيماهم التحليق أو قال التسبيد

আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। নবীজী সাঃ বলেছেন, পূর্বাঞ্চল থেকে একদল লোকের অভ্যুদয় ঘটবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, তবে তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে শিকার [ধনুক] থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তারা আর ফিরে আসবে না, যে পর্যন্ত ধনুকের ছিলায় না আসে। বলা হল, তাদের আলামত কি? তিনি বললেন, তাদের আলামত হল মাথা মুন্ডন। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৭১২৩}

قال على : إذا حدثتكم عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حديثا فلأن أخر من السماء أحب إلى من أن أكذب عليه وإذا حدثتكم فيما بينى وبينكم فإنما الحرب خدعة سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول : « يأتى فى آخر الزمان قوم حدثاء الأسنان سفهاء الأحلام يقولون من قول خير البرية يمرقون من الإسلام كما يمرق السهم من الرمية لا يجاوز إيمانهم حناجرهم فأينما لقيتموهم فاقتلوهم فإن قتلهم أجر لمن قتلهم يوم القيامة

হযরত সুয়াইদ বিন গাফালা থেকে বর্ণিত। হযরত আলী রাঃ বলেন, যখন তোমাদের কাছে আমি রাসূল সাঃ থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন তার দিকে মিথ্যার নিসবত করার চেয়ে আসমান থেকে পরে যাওয়া আমার কাছে উত্তম। যখন আমার ও তোমাদের মাঝে কোন কথা হয়, তখন জেনে রেখ “যুদ্ধ হল কৌশল”। আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, শেষ জমানায় এক জাতি আসবে। বয়সে হবে তরুণ। বুদ্ধিতে হবে কাঁচা। তারা রাসূল সাঃ এর কথা বর্ণনা করবে। কিন্তু তারা দ্বীন থেকে ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেমন ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালী ভেদ করে নিচে নামবে না। তোমরা তাদের যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করবে। কেননা যারা তাদের হত্যা করবে তারা কিয়ামতের দিন সওয়াব পাবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৭৬৯}

قال علي رضي الله عنه : إذا حدثتكم عن رسول الله صلى الله عليه و سلم حديثا فوالله لأن أخر من السماء أحب إلي من أن أكذب عليه وإذا حدثتكم فيما بيني وبينكم فإن الحرب خدعة وإني سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول ( سيخرج قوم في آخر الزمان أحداث الأسنان سفهاء الأحلام يقولون من خير قول البرية لا يجاوز إيمانهم حناجرهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية فأينما لقيتموهم فاقتلوهم فإن في قتلهم أجرا لمن قتلهم يوم القيامة

হযরত আলী রাঃ বলেছেন যে, আমি যখন তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কোন হাদীস বর্ণনা করি, আল্লাহর কসম! তখন তাঁর উপর মিথ্যা কথা আরোপ করার চেয়ে আকাশ থেকে নিচে পড়ে যাওয়াটা আমার কাছে শ্রেয়। কিন্তু আমি যদি আমার ও তোমাদের মধ্যকার বিষয় সম্পর্কে কিছু বলি, তাহলে মনে রাখতে হবে যে, যুদ্ধ একটি কৌশল। আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে যারা হবে অল্পবয়স্ক যুবক, নির্বোধ। তারা সৃষ্টির সবচাইতে শ্রেষ্ঠতম কথা থেকে আবৃত্তি করবে। অথচ ঈমান তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। তাদেরকে যেখানে ই তোমরা পাবে হত্যা করবে। কেননা তাদেরকে হত্যা করলে হত্যাকারীর জন্য কিয়ামত দিবসে প্রতিদান রয়েছে। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৩৪১৫}

বর্তমানের লা-মাযহাবীরা খারেজী কিভাবে?

এবার দেখুন রাসূল সাঃ এর বলা খারেজী সম্প্রদায়ের সাথে বর্তমান কথিত আহলে হাদীস/গায়রে মুকাল্লিদ/লামাযহাবীদের কি অপূর্ব মিল রয়েছে।

১ম নিদর্শন

মক্কা থেকে পূর্বের কোন এলাকা থেকে দলটির আবির্ভাব হবে। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৭১২৩}

কথিত আহলে হাদীসদের উত্থান ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে। মুহাম্মদ হাসান বাটালবীকে দিয়ে “আল ইকতিসাদ ফি মাসায়িলিল জিহাদ” নামক কিতাবে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম ফাতওয়া দিয়ে ইংরেজদের পা চেটে এ দলটির আবির্ভাব। প্রমাণ স্বরূপ দেখুন প্রসিদ্ধ কথিত আহলে হাদীস আলেমের স্বীকারোক্তি-

মাওলানা সানাউল্লাহ এর সত্য স্বীকার

গায়রে মুকাল্লিদদের শাইখুল ইসলাম ২০ শে অক্টোবর ১৯৩৩ ঈসাব্দে একটি ঘোষণা নিজেদের ফেরক্বাবাজী মুখপত্র “আহলে হাদীস” পত্রিকায় প্রকাশ করে। তাতে তিনি লিখেন-“মুসলমান ভাইয়েরা! [গায়রে মুকাল্লিদরা] অধিকাংশ মানুষ জানে যে, মাওলানা আহমাদ সাহেব দেহলবী সাত আট বছর যাবত মদীনায় অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে পৌঁছার পর সে পবিত্র শহরে বসবাসকারী কাউকেই আহলে হাদীসের অনুসারী পান নি। এ জামাতের কোন মাদরাসাও ছিল না, ছিল না কোন দাওয়াতী কাজ। সেখানে এ জামাতের কোন কার্যক্রমই ছিল না, ছিল না কোন নামও। এমন মনে হচ্ছিল যে, এ জামাতের কার্যক্রম থেকে কয়েক শতাব্দী যাবত রাসূল সাঃ এর মদীনা শহর বঞ্চিত। এ অবস্থা দেখে তার মনে অনেক কষ্ট লাগে। খুবই আফসোস লাগে যে, ইসলামের মারকায ও দরবারে নবী সাঃ, যাতে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা একত্রিত হয়, সেখানে কোন আহলে হাদীস নামধারী, এবং মাযহাবে আহলে হাদীসের কোন মুবাল্লিগ নেই?! কতটা লজ্জাজনক কথা! সুন্নাতের দাবিদার! অথচ পবিত্র সুন্নাতধারীর গৃহ মদীনা তায়্যিবায় সে দাবিদারদের কোন নাম নিশানাই নেই! আফসোস! ইন্নালিল্লাহ!”

এভাবেই ওদের প্রথম মাদরাসা ‘মাদরাসায়ে দারুল হাদীস মুহাম্মদিয়া’ ১২ ই রবিউল আউয়াল ১৩৫২ হিজরীতে শুরু হয়। এর প্রতিষ্ঠা হলেন আব্দুল হক নুনারী [পূর্ব আহমদপুর]।

এর দ্বারা এ বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, যেমন কাদিয়ানী ফেতনা, পারভেজী ফেতনা আরব দেশে পাক ও হিন্দ থেকে ঢুকেছে ঠিক তেমনি গায়রে মুকাল্লিদিয়্যাত ফিতনাও পাক ও হিন্দ থেকেই ঢুকেছে আরবে।

২য় নিদর্শন

তারা আসবে শেষ জমানায়। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৭৬৯}

ঠিক তাই। কথিত আহলে হাদীসদের আবির্ভাব হয়েছে শেষ জমানায়। ১২৪৬ হিজরীর আগে মুজতাহিদ ও নয় আবার মুকাল্লিদ ও নয় এমন গায়রে মুকাল্লিদ জামাত পৃথিবীর ইতিহাসে কোন ব্যক্তি ছিল না। এমন কোন জামাত ছিল না যারা কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে সংকলিত চার মাযহাবের কোন মাযহাব মানাকে শিরক বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। এমন কোন ফক্বীহ বা মক্কা মদীনার ইমামগণ পর্যন্ত মাযহাব মানাকে শিরক এবং মাযহাব অনুসরণ করে নামায পড়লে নামায হবে না বলে ভ্রান্ত ফাতওয়া প্রদান করেননি।

ইংরেজ আসার পর তাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া এ নতুন ফিরকাটি সৃষ্টি হয়েছে। যারা মাযহাব অনুসরণকে শিরক। কুরআন ও সুন্নাহের মাধ্যমে সংকলিত মাযহাব অনুসারে নামায পড়লে তা হয় না মর্মে ফাতওয়া দেয়া শুরু করেছে।
এ কথিত আহলে হাদীস/গায়রে মুকাল্লিদ ফিতনাটি নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে এ শেষ জমানায়।

৩য় নিদর্শন

কুরআন ও হাদীসের দলিল দিয়ে তারা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৩৪১৫}

এটির ব্যাখ্যা আশা করি প্রয়োজন নেই। এরাই কথায় কথায় কুরআন ও সহীহ হাদীস বলে বকওয়াজ করে বেড়ায়। যদিও কুরআন ও হাদীসের সঠিক মর্ম তারা বুঝতে সক্ষম নয়। আর অধিকাংশ সময়ই কুরআন ও হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যাকে অস্বিকার করে থাকে।

৪র্থ নিদর্শন

যারা হবে অল্প বয়স্ক, যুবক, নির্বোধ। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৩৪১৫}

কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের দিকে তাকান। দেশের আলিয়া, কলেজ ও ভার্সিটিগুলোর কুরআন হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞ মুর্খ ইংরেজী শিক্ষিত যুবক শ্রেণীই বেশির ভাগ কথিত আহলে হাদীস জামাতের সদস্য। যাচাই করেই দেখুন।

৫ম নিদর্শন

যারা অনেক নামাযী ও ইবাদতগুজার হবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৩৪}

এরাও সহীহ নামাযের দাবিদার। আর বাকিদের নামাযই হয় না মর্মে প্রচার করে বেড়ায়।

৬ষ্ঠ নিদর্শন

ঈমানের কথা বললেও তাদের মাঝে ঈমানের লেশ মাত্র থাকবে না। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৩৪১৫}

কুরআন ও সহীহ হাদীস এবং রাসূল সাঃ এর আদর্শের দাবি করে বেড়ালেও। তাদের ভুল উল্লেখ করে কুরআন ও হাদীস তুলে ধরলে তারা তাদের মনগড়া মতের উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকে। আপন অবস্থান থেকে সড়ে আসে না। মুখে কুরআন ও হাদীসের কথা বললেও আসলে কুরআন ও হাদীসের উপর তাদের ঈমান নেই। ঈমান হল তাদের শায়েখদের বলা শর্ত ও কথার উপর।

এমন কি তাদের মনগড়া মতের উল্টো সহীহ হাদীসকেও নির্দ্ধিধায় অস্বিকার এবং তাচ্ছিল্য পর্যন্ত করে থাকে। এক কথায় নাম হাদীস মানার হলেও অধিকাংশ হাদীসই তারা জাল জঈফ বলে অস্বিকার করে থাকে। তাই তাদের মনে কুরআন ও হাদীসের প্রতি সত্যিকার ঈমানের লেশমাত্রই নেই।

৭ম নিদর্শন

তাদের নিদর্শন হল, তাদের মাথা থাকবে ন্যাড়া। {সহীহ আল বুখারী, হাদীস নং-৭১২৩}

এদের মাথার দিকেও তাকিয়ে দেখবেন ওদের অধিকাংশের মাথায় টুপি নেই। হাদীসে বর্ণিত ন্যাড়া দ্বারা মাথার দ্বারা খালি মাথাও উদ্দেশ্য নেয়া যেতে পারে। যা কথিত আহলে হাদীসদের কর্মকান্ডের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।

৮ম নিদর্শন

মতভেদ ও মতানৈক্যের সময় এদের আবির্ভাব হবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৩৪}

সারা পৃথিবীতে যখন মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। নেতৃত্বসহ নানাভিদ বিষয় নিয়ে শতধা বিভক্ত এমনি করূন মুহুর্তে এ বিদআতি ফিতনা জামাত কথিত আহলে হাদীস/গায়রে মুকাল্লিদ/শব্দধারী মুসলিম জামাত/লামাযহাবী দলের তৎপরতা বৃদ্ধি পেযেছে।

৯ম নিদর্শন

পথভ্রষ্ট হওয়ার পর এরা আর ঈমানের দিকে ফিরে আসবে না। যেমন তীর আর ধনুকের কাছে ফিরে আসে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭১২৩}

হাদীসে বর্ণিত এ নিদর্শনটিও কথিত আহলে হাদীসদের মাঝে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান। তারা একবার আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে বেরিয়ে কথিত আহলে হাদীস তথা গায়রে মুকাল্লিদ ফিরকার অন্তর্ভূক্ত হবার পর আর ফিরে আসতে চায় না। যেমন তীর ধনুক থেকে ছুটে গেলে তা আর ফিরে আসতে চায় না।

রাসূল সাঃ এর বলা খারেজী সম্প্রদায়ের বদগূণগুলো আমরা বর্তমানের লামাযহাবী সম্প্রদায়ের মাঝে পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। তাই তাদের প্রোপাগান্ডা থেকে আমাদের সবারই সাবধান থাকতে হবে। তাদের মুখরোচক স্লোগান দেখে কিছুতেই বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা এ ভ্রান্ত কথিত আহলে হাদীস খারেজী ফিরকা থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।

বিঃদ্রঃ
খারেজী সম্প্রদায় সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত অধিকাংশ নিদর্শন লা-মাযহাবী সম্প্রদায়ের সাথে মিললেও তাদের সরাসরি আমরা খারেজী বলি না। কারণ মূল খারেজী সম্প্রদায় হযরত আলী রাঃ এর সময়ে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে মর্মে আরেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া হাদীসের বর্ণনা অনুপাতে তাদের হত্যা করার নির্দেশ এসেছে, আমরা লা-মাযহাবী সম্প্রদায়কে শারিরীকভাবে হেনস্থা করাকে জায়েজ মনে করি না। তাই নিশ্চিতভাবে লা-মাযহাবী ফিতনাবাজদের খারেজী বলা যাবে না। বরং খারেজীদের নিদর্শন ধারণকারী জামাত বলতে পারি।

والله اعلم بالصواب

Loading