এদের সাহস ও আত্মাভিমান দেখে আমি অভিভূত। এদের সাথে আন্দোলনের সূতিকাগার ও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছেলেদের মেলাতে গেলে ভাষা খুঁজে পাই না!
হাটহাজারী, পটিয়াসহ দেশের বড় বড় মাদ্রাসার ছাত্ররা এই নৃশংস খুনের প্রতিবাদ হিশেবে বর্তমান সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড ”আল হাইয়াতুল উলইয়ার” পরীক্ষা বর্জন করেছে! চিন্তা করতে পারেন?
আপনি এর মানে বুঝেন? এর মানে হচ্ছে, তাদের শিক্ষার কোনো সরকারি স্বীকৃতি হবে না। তারা কোনো ছোটখাটো সরকারি মসজিদের ইমামতিও করতে পারবে না!
এদের অবস্থাটা দেখেন আর আপনাদের অবস্থাটা দেখেন। আপনারা একটা সিট, একটা চাকুরির জন্যে নিজের জাত, বংশ, পরিবার, ধর্ম সবকিছুর বিরুদ্ধে গিয়ে জুতার তলা চাটতে চাটতে জিহবা ক্ষয় করে ফেলেন। আর এরা সরকারের স্বীকৃতিই ছুঁড়ে ফেলে দেয়! বাহ
কাওমি মাদ্রাসার জন্মই হয়েছিলো বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। জন্মই হয়েছিলো নতুন আরেকটা বিপ্লবের জন্যে। এর প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা কাসেম নানুতবী যে ৮ মূলনীতি ঘোষণা করেছিলেন, তার অন্যতম ছিলো, সরকারের স্বীকৃতির বাইরে থাকা। যারা কাওমি ব্যবস্থা এবং এ দেশীয় জুলমি ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত তারা এই স্বীকৃতির বিরোধিতা করতেন। কিন্তু তাদের কথার মূল্য দেয়া হয়নি।
আজকে কাওমির সন্তানরা তাঁদের প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জালিমের দেয়া তোহফা ছুঁড়ে ফেলে দিতে চান।
তাঁদের এই চেতনাই দেওবন্দি চেতনা। তাঁদের এই চেতনাই কাসেমি চেতনা।
দেওবন্দ যে সাংস্কৃতিক, রূহানি, ইলমি ও প্রকৃত বিপ্লবের জন্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো, এ উপমহাদেশে একদিন তারা তা বাস্তবায়িত করবেই।