আরবী তারিখঃ এখন ৯ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি মুতাবিক ৩০ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সময় সকাল ৯:৩১ মিনিট
এলানঃ-
আগামী ২৩ জুন রোজ শুক্রবার খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়ার মাসিক এহইয়ায়ে সুন্নত ইজতেমা রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ প্রাঙ্গনে আসরের নামাজের পর থেকে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি স্ববান্ধবে আমন্ত্রিত। সুন্নত মতো জিন্দেগী, এটাই খোদার বন্দেগী।

সাদপন্থীদের সম্বন্ধে মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন দা. বা. যা বলেছিলেন

জগতজুড়ে খ্যাত দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ। সহীহ নিয়ত, ইকরামুল মুসলিমিনের দীক্ষায় একই প্লেটে যারা খাবার খেয়ে আসছিল, সেই তারাই আজ দু-দলে বিভক্ত।

শুধু কি বিভক্ত? হাতাহাতি, মারামারি, খুনোখুনির এমন কলঙ্কজনক অধ্যায় ঘটেনি দাওয়াত ও তাবলিগের ইতিহাসে, যা ঘটেছে ১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে।

এমন উগ্রতা কিভাবে এলো? জানতে চাইলে মিরপুর-১ আকবর কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন বলেন, মূলকথা হল, ওলামায়ে কেরামের দিকনির্দেশনা ছাড়া দ্বীন সঠিকভাবে টিকে থাকা কখনোই সম্ভব নয়।

ওরা (সাদপন্থীরা) যেহেতু আগে থেকেই ওলামাবিদ্বেষী, ওলামাদের কথা আগেও মানতো না, এখনো মানে না এবং শুনতেও চাইতো না, তাই তাদের মনে দ্বীনের প্রকৃত বুঝ আসে নাই। দ্বীন না আসলে যা হবার, তাই হল এখন। দ্বীন যদি থাকতো, শরিয়ত থাকতো, তাহলে এ ধরনের হিংস্রতা, এ ধরনের উগ্রতা কখনো করতো না।

তিনি আরো বলেন, আগে যা ভেতরে লুকিয়ে রেখেছিল এখন তারই প্রকাশ ঘটেছে। একরামুল মুসলিমিন ভেতরে ছিল না, ভেতরে ছিল হিংস্রতা। তাই ভেতরেরটাই প্রকাশ করেছে। ইসলামকে কিভাবে কলুষিত করা যায় তার পাঁয়তারাই তারা করে যাচ্ছে। তাদের মিশন হল জনসাধারণ থেকে আলেমদের বিচ্ছিন্ন করা। সেটাই করছে এখন।

এ হামলা সংঘর্ষের নেপথ্যে কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা (সাদপন্থীরা) বিজাতির চক্রান্তের শিকারে পরিণত হয়েছে। ইসলামের অগ্রগতি হোক, দ্বীনের কাজ হোক এটা বিজাতিরা চায় না। ওরা সর্বদা এ কাজেই থাকে, কিভাবে মুসলমানদের মাঝে ফাটল ধরানো যায়।

তিনি আরো বলেন, যারা এমন করছে তাদের সাথে আলেম নাই। ওরা নিজেরাই আলেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় নানা মন্তব্য করে। এসব কেন করছে? কারণ ওরা বিজাতির চক্রান্তে পড়েছে। 

Loading