نحمده و نصلي علي رسوله الكريم اما بعد
জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে আমরা শরিয়তের অধিনস্ত, আল্লাহ আমাদের উপর রমাযানের ৩০ টি রোজা ফরজ করেছেন৷ অপারোগ অবস্থায় রোজা ভঙ্গকরা না করা , মাসাহ করা না করা প্রভূত ইসলামের বিধানাবলী নির্ভর করে একজন “বিজ্ঞ ডাক্তারের” মতামতের উপর । পরিভাষায় যাকে طبيب حاذق ( Identity of a Proficient Muslim Doctor) বলা হয়েছে । নিচে তবিবে হাযেকের শর্ত ও গুনাবালি উল্যেখ করা হল –
১. রোগ, রোগের কারন ও রুগির প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা।
২.রুগির সক্ষমতার বিষয় বিবেচনায় রেখে ওষুধ ব্যাতিত রুগির খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রিত জিবনযাপোনের মাধ্যমে চিকিৎসা করার যোগ্যতা রাখা ।
৩. রুগির মেজাজ-স্বভাব এবং এগুলোর পরিবর্তনে সৃষ্ট নতুন অবস্থা ইত্যাদি বোঝা এবং সেই অনুপাতে চিকিৎসা করার যোগ্যতা রাখা ।
৪. রুগির বয়স , অভ্যাস, দেশ, জন্মস্থান, ইত্যাতি সম্পর্কে অবগত থাকা এবং এগুলোর বিভিন্ন পরিবর্তনে চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ ইত্যাদির পরিবর্তনের জ্ঞ্যান থাকা ।
৫. রোগ সৃষ্টিকালিন তৈরি হয়া আবহাওয়া ও এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত থাকা ।
৬. রোগের বিপরিতমুখি ওষুধ, ওষুধের ক্রিয়া, পর্যায়, স্তর ও রোগির শক্তি সামঞ্জস্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা ।
৭. ওষুধের প্বার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং দুধরনের ওষুধ সম্পর্কে পার্থক্য জ্ঞান থাকা ।
৮. সহজ থেকে সহজ চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ।
৯. রোগির চিকৎসা অসম্ভব জানা সত্বেও চিকিৎসার মনমানসিকতা না থাকা ।
১০. রোগপ্রতিরোধের জ্ঞান থাকা ।
১১. অন্তরের ব্যাধি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা ।
১২. রোগির সাথে মুহাব্বত, শফকত ও স্নেহের আচারনের যোগ্যতা থাকা এবং রুগিকে সর্বদা হতাশার বদলে উৎসাহ ও সান্তনা দেওয়ায় অভ্যাস্ত হওয় ।
১৩. বর্তমান সাস্থ ঠিক রাখা এবং হারানো সাস্থ পুনুরদ্ধার এর জ্ঞান ও চেষ্টা থাকা ।
১৪. রোগের কারন সমূহ নির্মূল; প্রতিরোধ ও সাধ্যমত কমানোর জ্ঞান রাখা ।
১৫. বড় ও ছোট কষ্ট এবং বড় ও ছোট উপকার কোনটি তা নির্নয়ের জ্ঞান থাকা ।
যেই ডাক্তারে উপরোক্ত শর্তাবলি পাওয়া যাবে বস্তুত সেই শরয়ি (طبيب حاذق) বিজ্ঞ ডাক্তার বা Identity of a Proficient Muslim Doctor হিসেবে গন্য হবে ।
সূত্র:
√ Islam and modern medical treatment 101-103
√ আততিব্বুন নাববি, পৃ. ১৪১-১৬১
√ যাদুল মা’আদ, খ. ৪ , পৃ.১১১-১১৩