আরবী তারিখঃ এখন ৯ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি মুতাবিক ৩০ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সময় সকাল ১০:০২ মিনিট
এলানঃ-
আগামী ২৩ জুন রোজ শুক্রবার খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়ার মাসিক এহইয়ায়ে সুন্নত ইজতেমা রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ প্রাঙ্গনে আসরের নামাজের পর থেকে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি স্ববান্ধবে আমন্ত্রিত। সুন্নত মতো জিন্দেগী, এটাই খোদার বন্দেগী।

রিসোর্টের ৫০১ নম্বর রুমটির ভাড়া যদি কোন গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে থাকে? –মুফতি মাহমুদুল হাসান সিরাজী

কাল যদি শোনা যায় রিসোর্টের ৫০১ নম্বর ঘরটির ভাড়া কোনো গোয়েন্দা সংস্থা মিটিয়েছে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না….

বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের মধ্যে দুই জন নেতা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন। তাদের একজন ইসলামি আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং অন্যজন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
মামুনুল হক হেফাজতের নেতা হয়ে বেশ নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছিলেন। দেশের যুবকদের মধ্যে তার একটা অবস্থানও তৈরী হয়েছে, কিন্তু তিনি এখনো পরিপক্ক হননি।
সরকারের গোয়েন্দারা জানে মামুন সাহেবের দূর্বলতা কোথায়! তারা সেখানেই হাত দিয়েছে। আর মামুন সাহেব তাদের পাতা জালে পা দিয়েছেন।
সরকারের গোয়েন্দারা মামুন সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন হয়তো তাকে বলতে বাধ্য করবে- মামুন সাহেবের জন্যই তাদের ডিভোর্স হয়েছিল।
এদিকে এই সময়ে মামুন সাহেবকে রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য গোয়েন্দারা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ব্যাবহার করেছে কীনা সেটাও দেখার বিষয়।

মোদ্দা কথা হলো মামুন সাহেব যে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে উনি আর হেফাজতের পদে থাকার নৈতিক অধিকার রাখেন না।

মামুনুল হককে দিয়ে দেশের অন্য ইসলামপন্থী নেতাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। তারাও সরকারের নজরদারি এবং ষড়যন্ত্রের বাইরে নয়। যার যেদিকে দূর্বলতা পাবে সেদিক দিয়েই সরকার ইসলামপন্থীদের ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করবে। সুতরাং ইসলামপন্থী দলগুলোর ভেতরে সরকারের চর বা গোয়েন্দাদের এজেন্ট আছে কীনা তা তদারকি করার জন্য আলাদা কমিটি থাকা উচিত। হেফাজত অরাজনৈতিক আলেমদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। রাজনৈতিক আলেমদের অব্যাহতি দেয়া উচিত। কারণ কাল যদি শোনা যায় রিসোর্টের ৫০১ নম্বর ঘরটির ভাড়া কোনো গোয়েন্দা সংস্থা মিটিয়েছে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আমার ধারণা সরকারের পরের টার্গেট- সৈয়দ রেজাউল করিম ও সৈয়দ ফয়জুল করিম। তাদের মধ্যে সমস্যা তৈরী করার জন্য তাদেরই কাছের কাউকে ব্যাবহার করা হতে পারে। সুতরাং তাদের আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাদের ডানে বায়ে যারা থাকে তাদের উপরও দলীয় নজরদারি বাড়ানো উচিত।

Loading