‘আল্লাহর দিকে, আল্লাহর দ্বীনের দিকে মানুষকে ডাকা ফরয। এর জন্যে কোনো ধরন নির্ধারিত নেই।… সব জায়গায় বা সব ব্যক্তির ওপর দাওয়াতের একটি ধরণ নির্ধারিত করে অহিলব্ধ বিধানের মতো চাপাচাপি করা কখনই সঠিক নয়।
আমরা মাঝে-মাঝে অনুভব করি যে, একটি শ্রেণি মনে করে বেড়াচ্ছে যে, ‘তাদের কর্মপদ্ধতিই সঠিক। যারা দ্বীনের খেদমত করতে চায়, তাদেরকে সবসময় ও সব জায়গায় ওই পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। এর বাইরে অন্য সব পদ্ধতি ভুল। যতোক্ষণ পর্যন্ত তার বলা বিশেষ পদ্ধতির ওপর অন্যরা কাজ না করবে, তাদের সব চেষ্টা, প্রয়াস ও সাধনা ব্যর্থ।’ বলার অপেক্ষা রাখে না, তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি খুবই বিপদজনক।
যুগে যুগে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই বিভিন্ন দল-উপদল-ফেরকা জন্ম নিয়েছে।…
ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যে, কোনো কাজ প্রথম দিকে বিশুদ্ধ লক্ষ্য ও দ্বীনের কল্যাণকামিতার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল; কিন্তু পরবর্তীকালে সেটি ভুল পথে চলে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মূল বাস্তবতা ও রুসম, সুন্নত ও বিদআত, বৈধ ও ফরযের মাঝে পার্থক্য করাটাই তাফাক্কুহ ফিদ দ্বীন বা দ্বীনের গভীর প্রজ্ঞার প্রতীক।’
* সাদ সাহেব সমীপে খোলা চিঠি [তাবলীগ : ৪]
* তাবলীগে দ্বীন কে লিয়ে এক উসুল
খুতুবাতে আলি মিয়া রহ. খ : ৫। পৃ : ৪৪২-৪৪৪