☞ প্রতিটি মুসলিমের জন্য দুনিয়ার কাজ-কর্ম সুস্থ-স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে করা উচিত। একই সঙ্গে নবীজির সুন্নত অনুযায়ী শুরু করা আবশ্যক। নিচে ১৫ টি কাজের সুন্নত বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
১.ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করে। [বুখারি : ৫৩৭৬]
২.ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, এবং কোন শুভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। [ইবনে মাজাহ : ৩৮০৫]
৩.কারো হাঁচি আসলে ‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লী হা-ল’ বলা। [আত তিরমিজি : ২৭৪১]
৪.কোন হাঁচি দাতা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলেÑ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। [বুখারি : ৬২২৪]
৫.আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা। স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরনের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। [বুখারি : ৬২১৮]
৬.ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা আল্লাহ’ বলা। [মুসলিম : ৩৫০৮]
৭.ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা। [আল কাহাফ : ২৩-২৪]
৮.কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে ‘না’উজু বিল্লাহ’ বলা। [বুখারি : ৬৩৬২]
৯.কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে ‘ইন্না লিল্লাহ’ বলা। [মুসলিম : ২১২৬]
১০.কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা। [সুরা মুহাম্মদ : ১৯]
১১.উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। [বুখারি : ২৯৯৩]
১২.নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আলাম’ বলা। [বুখারি : ৫৫৭০]
১৩.কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা। [বুখারি : ৩৩৬]
১৪.কোন কিছু জবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আল্লাহু আকবর’ বলা। [মুসলিম : ৫০৮৮]
১৫.কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা। [বুখারি : ৬১০]
আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতিটি কাজ সুন্নাত মুতাবেক করার তওফিত দান করেন। আমিন।