আরবী তারিখঃ এখন ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি মুতাবিক, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার, সময় রাত ৪:৫২ মিনিট

মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির মৃত্যু কালীন ও কাফন-দাফনের সুন্নত এর বিস্তারিত

১. মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির চেহারা কিবলামুখী করে দেয়া এবং তার সামনে বসে তাকে শুনিয়ে কালিমায়ে ত্বয়্যিবাহ পড়তে থাকা। তবে তাকে কালিমা পড়ার হুকুম দেয়া যাবে না, তার পাশে বসে সূরা ইয়াসীন পড়া। কালিমা ত্বয়্যিবাহ একবার পড়ে তারপর যদি দুনিয়াবী কোন কথা না বলে তাহলে দ্বিতীয় বার কালিমার তালকীন না করা। দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ৩১২১
২. স্বীয় মৃত্যু নিকটবর্তী মনে হলে اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَ ارْحَمْنِيْ وَ اَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰي দু‘আ পড়তে থাকা। দেখুনঃ তিরমিযী শরীফঃ ৩৪৯৬
৩. যখন রূহ বের হচ্ছে বলে অনুভব হবে তখন اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ اَوْ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ দু‘আ পড়া। দেখুনঃ তিরমিযী শরীফঃ ৯৭৮
৪. কারো মৃত্যু সংবাদ শ্রবণে اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ দু‘আ পড়া। দেখুনঃ মুসলিম শরীফঃ ৯১৮
৫. মৃত ব্যক্তির চক্ষুদ্বয় ও মুখ খোলা থাকলে বন্ধ করে দেয়া। প্রয়োজনে মাথার উপর ও থুতনীর নীচ দিয়ে কাপড় বেঁধে দেয়া।
দেখুনঃ মুসলিম শরীফঃ ৯২০
৬. মৃত ব্যক্তিকে খাটে রাখার সময় বা লাশবাহী খাট কাঁধে উঠানোর সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলা। দেখুনঃ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহঃ ১২০৬২
৭. মৃত ব্যক্তির খুব দ্রুত কাফনের ব্যবস্থা করা। পুরুষ নারীর এবং নারী পুরুষের গোসল করাতে পারবে না। তবে প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীর গোসল করাতে পারবে; কিন্তু স্বামী স্ত্রীর গোসল করাতে পারবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকাকে নারী-পুরুষ উভয়ই গোসল করাতে পারবে। মৃতের প্রিয়জনদেরই গোসল করানো উত্তম। প্রয়োজনে অন্যরাও করাতে পারবে। সুন্নত তরিকায় কাফনের নিয়মঃ
গোসলের নিয়মঃ প্রথমে মৃতকে চৌকি বা গোসলের খাটিয়ার ওপর শোয়াতে হয়। তারপর পরনের কাপড় সরিয়ে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশে একটা কাপড় রাখতে হয়। হাতে কাপড় পেঁচিয়ে পেশাব-পায়খানার জায়গা পরিষ্কার করতে হয়। অজু করাতে হয়। নাকে ও মুখে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তুলা ভিজিয়ে দাঁতের মাড়ি ও নাকের ভেতর মুছে দেওয়া জায়েজ। গোসল ফরজ বা হায়েজ-নেফাস অবস্থায় মারা গেলে মুখে ও নাকে পানি পৌঁছানো জরুরি। পানি যেন ভেতরে না যায় সে জন্য নাক, মুখ ও কানে তুলা দিতে হয়, এরপর ধুতে হয়। মৃতকে বাঁ দিকে কাত করে শুইয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এমনভাবে তিনবার পানি ঢালতে হয়, যেন বাঁ কাত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অনুরূপভাবে ডান কাত করে শুইয়ে তিনবার পানি ঢালতে হয়। এরপর মৃতকে কোনো কিছুর ওপর ঠেস দিয়ে বসিয়ে আস্তে আস্তে পেটে চাপ দিতে হয়। কোনো মল বেরোলে পরিষ্কার করে ধুয়ে দিতে হয়। এর জন্য পুনরায় অজু ও গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। অতঃপর বাঁ কাত করে শুইয়ে কর্পূর মেশানো পানি ঢালতে হয় তিনবার। সব শেষে একটি কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে হয়। বিজ্ঞ ডাক্তাররা বলে থাকেন কারো শরীরে কোনো ধরনের সংক্রামক ব্যাধি থাকলে মৃত্যুর চার-পাঁচ ঘণ্টা পর তার শরীর থেকে তা আর সংক্রমিত হয় না।
পুরুষের জন্যঃ পুরুষের সুন্নত কাফন হলো ১. কামিস (জামা), ২. ইজার (লুঙ্গি), ৩. লেফাফা (চাদর)
১. কামিস কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত হবে, হাতা হবে না। ২. ইজার মাথা থেকে পা পর্যন্ত হবে।৩. লেফাফা ইজার থেকে এক হাত লম্বা হবে।
পুরুষকে কাফন পরানোর নিয়মঃ প্রথমে লেফাফা রাখা, তারপর লেফাফার ওপর ইজার রাখা। অতঃপর কামিস রাখা, এরপর মৃতকে এর ওপর রেখে প্রথমে কামিস পরানো। অতঃপর ইজারকে বাঁ দিক থেকে চড়ানো, এরপর ডান দিক থেকে চড়ানো। এরপর বাঁ দিক থেকে লেফাফা মুড়ে দেওয়া, তারপর ডান দিক থেকে লেফাফা মোড়ানো। উভয় দিক থেকে কাফনকে বেঁধে দেওয়া।
নারীর জন্যঃ নারীদের সুন্নত কাফন হলো ১. লেফাফা, ২. ইজার, ৩. কামিস, ৪. ওড়না, ৫. সিনাবন্ধ (বক্ষবন্ধনী)।
১. ইজার মাথা থেকে পা পর্যন্ত হবে। ২. লেফাফা ইজার থেকে এক হাত লম্বা হবে। ৩. কামিস কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত হবে, হাতা হবে না। ৪. ওড়না হবে তিন হাত লম্বা। ৫. সিনাবন্ধ হবে বগল থেকে হাঁটু পর্যন্ত।
নারীকে কাফন দেওয়ার পদ্ধতিঃ প্রথমে লেফাফা বিছানো, লেফাফার ওপর ইজার, তার ওপর কামিস বিছানো। প্রথমে কামিস পরানো, চুলকে দুই ভাগ করে সিনার দুই পাশে কামিসের ওপর রেখে দেয়া। এরপর ওড়না মাথার ওপর রাখা, ওড়না পেঁচানোও যাবে না, বাঁধাও যাবে না, বরং শুধু রেখে দিতে হবে। এরপর ইজারকে প্রথমে বাঁ দিক থেকে, তারপর ডান দিক থেকে পেঁচিয়ে সিনার দিক থেকে বেঁধে দেওয়া, অতঃপর লেফাফা পেঁচিয়ে দেয়া।

জানাযার পরে হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা নিষেধ এবং জানাযার পর থেকে মুর্দার চেহারা দেখানো নিষেধ।

কাফন-দাফন শুধুমাত্র বর্ননায় শেখা যায়না, বরং কোন অভিজ্ঞ আলেম থেকে মশকে আমলীর মাধ্যমে শিখে নিতে হবে।

মৃতকে কাফন পরানো ফরজে কিফায়া। গোসলের পর কাফন পরাতে হয়। যে ধরনের কাপড় পরা জীবদ্দশায় জায়েজ ছিল, সে ধরনের কাপড় দিয়ে কাফন পরানো জায়েজ। নতুন বা পুরনো সাদা কাপড় দিয়ে কাফন পরানো উত্তম। জীবদ্দশায় নিজের জন্য কাফনের কাপড়ের ব্যবস্থা করা জায়েজ।
দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ২/৪৫০, মাআরিফুল হাদিসঃ ৩/৫৬৪, আহসানুল ফাতাওয়াঃ ৪/২১৯, ইমদাদুল মুফতীনঃ ৪৪৪, ফাতাওয়া দারুল উলূমঃ ৫/৩০৫, আবু দাউদ শরীফঃ ২৭৪৫, মুসলিম শরীফঃ ১৫৬৫, সুনানে কুবরাঃ ৬৯৩৭, ইবনে মাজাহ শরীফঃ ১৪৬০, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ ৩/২৫২, আবু দাউদ শরীফঃ ২৭৪৫, ফাতাওয়া আলমগিরিঃ ১/২১৮, ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ ১/৫৬৩, ফাতহুল কাদিরঃ ২/১১৭, দুররুল মুখতারঃ ৩/৯৫
৮. মৃত ব্যক্তির লাশ কবরে রাখার সময় بِسْمِ اللّٰهِ وَ عَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللّٰهِ দু‘আ পড়া। কবরে মাটি দিতে প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ দ্বিতীয়বার বলবে وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ তৃতীয়বার বলবে وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى।
দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ১০৪৬, ফাতাওয়ায়ে শামীঃ ৩/১৭৮, আলআযকারঃ ১/৪১৬
৯. মৃত ব্যক্তির খুব দ্রুত কাফনের পর দাফনের ব্যবস্থা করা। সুন্নত তরিকায় দাফনের নিয়মঃ
লাহাদ বা বগলী কবর বলা হয়ঃ মায়্যিত যতটুকো লম্বা হবে তার মাপ অনুযায়ী অর্ধেক বা আরেকটু বেশি কবর খনন করা। এরপর মায়্যিতের মাপ অনুযায়ী পশ্চিম দিকে শুধু মায়্যিতকে রাখা যায় মতো মূল কবরের সিমানার বাহিরে অতিরিক্ত আরো একটি বাক্স এর মতো স্থান খনন করা। এই অতিরিক্ত স্থানে মায়্যিতকে পরিপূর্ন কিবলামুখি রাখার পর কাচা ইট বা বাশঁ দিয়ে পুরোটা বন্ধ করে দিতে হবে। এবং পুরো কবরকে মাটি দ্বারা পূর্ন করে দেয়া।
শাক্ব বা সিন্দুকী কবর বলা হয়ঃ মায়্যিত যতটুকো লম্বা হবে তার সিনা/কাঁধ বরাবর বা আরো বেশি কবর খনন করা। এরপর মায়্যিতের মাপ অনুযায়ী পশ্চিম দিকে বা মাঝখানে পূর্ন মায়্যিতকে রাখা যায় মতো কবরের নিচের দিকে অতিরিক্ত আরো একটি গর্তের মতো স্থান খনন করা। এই অতিরিক্ত স্থানে পূর্ন মায়্যিতকে পরিপূর্ন কিবলামুখি করে ঢুকিয়ে রাখার পর উপরের দিকে কাচা ইট/বাশঁ দিয়ে পুরোটা বন্ধ করে দেয়া। এবং পুরো কবরকে মাটি দ্বারা পূর্ন করে দেয়া।
উপরক্ত লাহাদ ও শাক্ব কবরের মধ্যে লাহাদ কবর অতি উত্তম, মাটি নরম হওয়ার কারনে বা অন্য কোন শরিয়ত সম্মত কারনে যদি লাহাদ কবর খনন করা সম্ভব না হয়, তাহলে উযরের কারনে শাক্ব কবরও খনন করা জয়েয আছে। উল্লেখ্য যে, রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লাহাদ কবরে দাফন করা হয়েছে। উপরক্ত দুই পদ্ধতি ছাড়া বর্তমান সমাজে প্রচলিত কবর খননের বিবিধ পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত নয়। তাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি পালনের সামর্থ থাকা সত্যেও নাজায়েয পদ্ধতিতে কবর খনন ও দাফন জায়েয নয় বরং তা পরিত্যাজ্য। আরো বিস্তারিত দলিলসহ রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ এর কেন্দ্রীয় দারুল ইফতার (ফতওয়া কোডঃ ১৪৪-আমা-১৮-০৭-১৪৪৩) নং ফতওয়াটি দেখা যেতে পারে।
দেখুনঃ ফাতাওয়া শামীঃ ৩/১৩৯, আবহরুর রাইকঃ ২৮/২০০৮, আহসানুল ফাতাওয়াঃ ৪/২২৪, আবুদাউদ শরফিঃ ২১৭৭,৩২০৮, আহকামে মায়্যিতঃ ২৩৬
১০. আহলে মায়্যিতগনের জন্য খানা পাকিয়ে পাঠানো সুন্নত। আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকে তাদের জন্য প্রথম দিন খানার ব্যবস্থা করা। মৃত ব্যক্তির উপর যাদের ভরণ-পোষণের দাইত্ব ছিল শুধু তারাই এ খানা খাবে, মেহমানগন এ খানায় শরীক হবে না। তারা সান্ত্বনা দিয়ে দ্রুত চলে যাবে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের উপর বোঝা সৃষ্টি করবে না। বর্তমানে বিষয়টিকে মোটেও খেয়াল করা হয় না। রেওয়াজ হিসেবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে মৃতের পরিবারের পক্ষ হতে কোনরূপ খানার আয়োজন না করা। তেমনিভাবে ৪/৭/১০ দিনা, বা ত্রিশা/চল্লিশা কুলখানী ইত্যাদি বিধর্মীদের রুসম। এগুলো থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা, মূর্খরা যতই বদনাম করুক আল্লাহ তাআলার জন্য এ সব বদনাম বরদাশত করা। দেখুনঃ তিরমিজি শরিফঃ ১/১৯৫, বুখারী শরীফঃ ৫৪১৭, মুসনাদে আহমাদঃ ৯০৫
১১. কবর খুব বেশি উঁচু না করা এবং পাকা না করা। দেখুনঃ মুসলিম শরীফঃ ৯৬৯, ৯৭০
১২. কবরের উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া। দেখুনঃ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ৬৪৮১
১৩. মৃত ব্যক্তির দাফনকার্য সম্পন্ন করার পর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তার মাগফিরাত কামনায় দু‘আ করতেন এবং অন্যদেরকেও মাগফিরাতের দু‘আ করতে বলতেন। বিশেষত মুনকার নাকীর ফিরিশতাদ্বয়ের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে সে যেন দৃঢ়পদ ও অবিচল থাকতে পারে, সে জন্য দু‘আ করতে বলতেন। দেখুনঃ আবু দাউদ শরীফঃ ৩২২১
১৪. কবরের মাথার দিকে কেউ সূরা বাকারার শুরু থেকে مفلحون পর্যন্ত এবং পায়ের দিকে অন্য কেউ امن الرسول থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করা। কবরের চার কোণায় খুটি গাড়া ও চার কোণায় চার কুল পড়ার কোন ভিত্তি নেই। দেখুনঃ শুআবুল ইমানঃ ৮৮৫৪
১৫. জানাযা নামাযে প্রথম তাকবিরের পর ছানা পড়া। দেখুনঃ দারাকুতনীঃ ১৮৫৩, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ ৩/২৯৫
১৬. জানাযা নামাযে দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদে শরিফ পড়া। দেখুনঃ দারাকুতনীঃ ১৮৫৩, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ ৩/২৯৫
১৭. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জানাযা নামাযে তৃতীয় তাকবিরের পর اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ দুআটি পড়া। দেখুনঃ সুনান তিরমিজিঃ ১০২৪, আবু দাউদ শরফিঃ ২/৪৫৬
১৮. মায়্যিত নাবালক হলে তৃতীয় তাকবিরের পর اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وَّ اجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا দুআ পড়া।
দেখুনঃ বেনায়াহঃ ৩/২২৩
১৯. মায়্যিত নাবালেগা হলে তৃতীয় তাকবিরের পর اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَةً দুআ পড়া।
দেখুনঃ বেনায়াহঃ ৩/২২৩
১৯. চতুর্থ তাকবির বলে ডান-বামে সালাম ফিরানো। দেখুনঃ সুনানে কুবরাঃ ৭২৩৮

Loading