আরবী তারিখঃ এখন ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি মুতাবিক ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বুধবার, সময় রাত ৪:২৮ মিনিট
এলানঃ-
১৪৪৫-১৪৪৬ হিজরী, ২০২৪-২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়ার দ্বিমাসিক সুন্নতী ইজতেমা সমূহ
* ২৫-২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা
* ২৭-২৮ জুন ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা
* ২৯-৩০ আগষ্ট ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা
* ২৪-২৫ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা
* ২৬-২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা
* ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রি. বৃহস্পতিবার আসেরর পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা

মুফাক্কিরে ইসলাম হযরত মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী দা. বা. এর জীবন ও আদর্শ

উত্তরবঙ্গের মারকাযুল মাদ্বারিস জামিআ ইসলামিয়া কাসিমুল উলুম জামিল মাদ্রাসা বগুড়ার স্বনামধন্য সহকারি মহাপরিচালক, মুফাক্কিরে ইসলাম, শাইখুল মাকুলাত ও মানকুলাত হযরত মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী দা. বা. এর পিতার নাম মরহুম আজহার মিয়া রহ., চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অন্তর্গত হরিণখাইন গ্রামে ১৯৫৭ ইং তে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

হযরত পবিত্র কালামে পাকের হিফজ শেষ করার পর পটিয়া মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস এবং ফুনুনাতে আলিয়ার কিতাব সমূহ অধ্যয়ন শেষ করেন। হযরত পটিয়া মাদ্রাসার শুরুর সময়ের সকল আকাবিরগনের কাছে শিষ্যত্ব বরণ করেন, এর মধ্যে শাইখুল আরব ওয়াল আজম মাওলানা শাহ ইউনুস (হাজী সাহেব হুজুর) রহ. ও শাইখুল আরব ওয়াল আজম, মুফতিয়ে আজম বাংলাদেশ ফকিহুল মিল্লাত শাহ মুফতি আব্দুর রহমান রহ. উল্লেখযোগ্য।

পটিয়া মাদ্রাসার লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮৪ ইং সালে নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে ইলমে দ্বীনের খিদমত আঞ্জাম দেয়ার জন্য নিজ উস্তাদদের পরামর্শে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র জামিল মাদ্রাসায় আসেন। এবং ২০০৬ ইং পর্যন্ত জামিল মাদ্রাসায় বহুত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সমূহ পরিচালনা করেন।

ইত্যবসরে নিজ উস্তাদগনের পরামর্শে পুনরায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পটিয়া মাদ্রাসায় প্রত্যাবর্তন করেন, ২০০৭-২০০৮ ইং দুই বছর পটিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, এসময় তিনি হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব নাসায়ী শরীফ পাঠদান করেন।

২০০৯ ইংরেজিতে পুনরায় নিজ উস্তাদ এবং জামিল মাদ্রাসার মজলিসে শুরার নির্দেশনা মুতাবিক উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র জামিল মাদ্রাসায় ফিরে আসেন। এবং মজলিসে শুরার নির্দেশনা মুতাবিক হযরত শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি এর নায়েব (সহকারী) হিসেবে জামিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন।

কিছু অদূরদর্শী ব্যক্তি হযরতের এই অগ্রগতিকে মেনে নিতে না পারলেও, হযরত এখন পর্যন্তও আল্লাহ তাআলার ফজল ও করমে হযরত ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ. এর ইন্তেকালের পরেও মজলিসে শুরার নির্দেশনা মুতাবিক আপন পদে বহাল থেকে ইলমে দ্বীন ও অন্যান্য খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা হযরতের হায়াতসহ সকল কিছুর মধ্যে ভরপুর কামিয়াবী এবং বরকত দান করেন, আমিন।

Loading