কোন ইমামের মাযহাবের অর্থ হচ্ছে তার ফাতওয়া। তিনি কুরআন সুন্নাহর আলোকে যে ফতওয়া দিয়েছেন সেটিই হচ্ছে তার মাযহাব। মাযহাব মানে কুরআন সুন্নাহর বাইরে ব্যক্তিগত মত নয়।
ইমাম তিরমিজী রহ. সুনানে তিরমিজীতে হাদীস উল্লেখ করার পর ইমামদের ফতওয়াও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ হাদীস অনুযায়ী ফতওয়া দিয়ে থাকেন মালেক, আওয়ায়ী, সুফইয়ান সাওরী, শাফেয়ী প্রমুখ ইমামগণ। ইত্যাদি। এই ফতওয়াগুলোই হচ্ছে মাযহাব।
হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলোতেও ইমামগণের ফতওয়া উল্লেখ করা হয়। এই ফতওয়াগুলোকেও কখনো মাযহাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তো ফতওয়া ও মাযহাব একই জিনিস।ইমাম ইবনে আব্দুল বার রহ. তার কিতাব الاستذكار الجامع لمذاهب فقهاء الأمصار আলইস্তিকার আলজামে লী মাযাহিবি ফুকাহাহিল আমসার…। তিনি কিতাবের নামে ফকীহদের মাযহাবের কথা বলেছেন। আর কিতাবের ভিতরে উল্লেখ করেছেন ইমামগণের ফতওয়া। তাহলে স্পষ্ট যে, ফতওয়া আর মাযহাব একই জিনিস।ইবনে জারীর তবারী রহ. বলেন, قال ابن جرير والمبلغون عن عمر فتياه ومذاهبه وأحكامه في الدين بعده كانوا أكثر উমর রা. এর মৃত্যুর পর যারা তার ফতওয়া, মাযহাব ও দ্বীনী বিষয়ে বিভিন্ন ফয়সালা পৌঁছিয়েছেন তাদের সংখ্যা অনেক।– ইলামুল মুআক্কিইন, ইবনুল কায়্যিম ১/২০
ইবনে জারীর তবারী রহ. এখানে ফতওয়া ও মাযহাব একই সাথে উল্লেখ করেছেন। উভয়টি দ্বারা উদ্দেশ্য একই।ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.ও ইমামদের মাযহাবের কথা বলে তিনি তাদের ফতওয়ার কথা বলেছেন। এর থেকেও পরিষ্কার যে, ফতওয়া ও মাযহাব একই জিনিস।
দেখুন; মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ ৩/২৩৯-২৪১
আসলে এটি এমন একটি স্পষ্ট ও পরিষ্কার বিষয় যে, এর কোন দলীল ও প্রমাণের কোন প্রয়োজন নেই। তারপরও যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়, তাই কিছু লেখা হল।
পড়েছেনঃ 965 জন