তাহাজ্জুদের সময় থেকে ইশরাকের নামাজ আদায়সহ মামুলাতে রহমানিয়া মাদরাসা
- সুবহে সাদিকের কমপক্ষে ৪৫ মিনিট পূর্বে মাদরাসার ঘন্টা বাজানো হয়, এসময় সকল বিভাগের সকল ত্বলাবা-আসাতিযাগন ঘুম থেকে উঠে মসজিদে গিয়ে তাহিয়্যাতুল উযু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ, সলাতুল হাজত, সলাতুত তওবাহ, সলাতুশ শুক্র এক নিয়তে, সলাতুত তাহাজ্জুদ ও মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে রুনাজারিতে ব্যস্ত হয়ে থাকেন।
- ফজরের আযানের সময় হলে মুআজ্জিন সাহেব সঠিক সময়ে সুন্নত তরিকায় আযান দেন, আজান শেষে দ্রুত ফজরের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করে মাদরাসা কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী মাদরাসার সকল হালকাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাতিযাগনের নেগরানিতে বারো তাসবীহের যিকর শুরু হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ, কিতাব বিভাগের ছাত্র-উস্তাদদের জন্য বারো তাসবীহের যিকরে অংশগ্রহন করা বাধ্যতামূলক।
- ফজরের নামাজের ১৫ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত এই যিকর চলতে থাকে, যারা আযানের পর ফজরের নামাজের সুন্নত আদায় করতে পারেনি বা বাহিরাগত মুসল্লিগণ এ সময় সুন্নত আদায় করে নেন, যারা সুন্নত পূর্বে আদায় করেছেন তারা এসময় তিলাওয়াতে কালামে পাকে মশগুল থাকেন।
- সুর্যদ্বয়ের ৩০ মিনিটি পূর্বে ফজরের নামাজ শুরু হয়, ইমাম সাহেব তিওয়ালে মুফাসসাল এর ক্বিরাআতের মাধ্যমে ফজরের নামাজ আদায় করান, ফজরের নামাজের পর থেকে একটানা ইশরাকের নামাজ পর্যন্ত প্রথম ভাগে মাসনুন দাওয়াত এবং শেষ ভাগে বিভিন্ন সুন্নত সমূহের মশকে আমলি বা বাস্তব প্রশিক্ষন দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাতিযাগনের নেগরানিতে অনুষ্ঠিত হয়।
- ফজরের নামাজের পর ধারবাহিক মামুলাতের শেষ ভাগে সারা বছর গুরুত্বপূর্ন সুন্নত সমূহের মশকে আমলী বা (ব্যবহারিক প্রশিক্ষন) দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাতিযাগনের নেগরানিতে অনুষ্ঠিত হতে থাকে। উক্ত সুন্নত সমূহ সারা বছরের ইমতেহান অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাবে স্তর বিন্যাস করা হয়েছে ও মামুলাতে রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ এর পর বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
- ইমাম সাহেব ইশরাকের নামাজ পড়ার নির্দেশনা প্রদান করলে সকলের ইশরাকের নামাজ আদায় করেন।
বিস্তারিত জানতে আমাদের “মামুলাতে মাদরাসা” কিতাবটি পড়ুন