রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা সিরাজগঞ্জ এর ব্যয় নির্বাহ পদ্ধতি

সম্পূর্ণ বেসরকারি, অরাজনৈতিক এ প্রতিষ্ঠানের আয়ের স্থায়ী কোনো উৎস নেই, সকল কার্যক্রম মহান আল্লাহ তাআলার রহমত, মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দের স্বেচ্ছা প্রদত্ত অনুদান ও আন্তরিক দুআর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তবে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে নিম্নোক্ত বুযুর্গদের স্মরণীয় বাণীই মূল পাথেয়।

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. ইরশাদ করেনঃ
১. দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের কোন কাজের অর্থের প্রয়োজন হলে মুসলিম সমাজকে সাধারণভাবে অবগত করাই যথেষ্ট। এতে কেউ স্বতঃস্ফূর্ত দান করলে সাদরে গ্রহণ করা হবে। কমিশন ভিত্তিক চাঁদা কালেকশন করা বা অন্যকে দ্বারা করানো শরীয়ত সম্মত নয়।
২. চাঁদা চাওয়ার ক্ষেত্রে ইস্তেগনা বা আত্মমর্যাদাবোধ রক্ষা করা অতিজরুরী।
৩. চাঁদায় হারাম মাল বা টাকা-পয়সা গ্রহণ করা যাবে না। দাতার স্বাভাবিক অবস্থা ছাড়া অস্বাভাবিক অবস্থায় কোন প্রকার চাঁদা প্রদান করা ও গ্রহণ করা জায়েয নয়।
৪. নিজেকে অপমানিত হতে হয় এমন নিয়মে চাঁদা করা বা অপমানিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এমন নিয়মে চাঁদা আদায় নাজায়েজ।
৫. চাঁদা উসুলকারীর চাপাচাপির কারণেই যদি চাঁদা দেয়া হয়, তাহলে এমন চাঁদা দেয়া এবং গ্রহণ করা কোনোটিই জায়েজ নয়।
৬. দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারণ ভাবে চাঁদা আহবানে কোন আপত্তি নেই, লজ্জায় ফেলে চাঁদা উসুল করা গুনাহ, চাঁদা প্রদানের জন্য উৎসাহ প্রদান করা জায়েজ, যে কোনো চাপ সৃষ্টিমুলক চাঁদা সংগ্রহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা হোক। -তুহফাতুল উলামা

মুহিউস সুন্নাহ হযরত শাহ আবরারুল হক হরদুঈ রহ. ইরশাদ করেনঃ
১. এধরনের দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সচরাচর মুসলিম সমাজের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে থাকে, তবে এমন ভাবে অর্থ আহ্বান করা উচিত নয় যাতে করে মানুষ লজ্জা ও বিব্রত বোধ করে।
২. প্রতিষ্ঠানের চলমান অবস্থা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কার্যাদিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক অবগত করে চাঁদার কথা এভাবে বলা যেতে পারে যে, কারো হাতে এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো কর্মসূচি না থাকলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

পূর্বোল্লিখিত বাণীসমূহ অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে চাঁদা সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হয় না ও কোথাও কোন ধরনের সাহায্যের আবেদন করা হয় না। অতএব মাদরাসার জরুরী প্রয়োজন, মসজিদ, এতীমখানা, ছাত্রাবাস নির্মান বাবদ খরচ, কর্তব্যরত শিক্ষকবৃন্দের বেতন ভাতা ও প্রশিক্ষণরত গরিব মিসকিন তালিবুল ইলমদের ভরণপোষণসহ অপরাপর প্রয়োজনাদি পূরণে কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করলে, নিম্নে প্রদত্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ব্যয়ের খাত সমূহ

মাদ্রাসার জরুরী প্রয়োজন, সাধারন ফান্ড, মেহমান ফান্ড, গোড়াবা ফান্ড, তামির (নির্মান) ফান্ড, হাদিয়া (বেতন) ফান্ড, মাহে রমাযান ফান্ড, বিবিধ ফান্ড।

পরিচালকঃ রহমানিয়া ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ 01917443377