আরবী তারিখঃ এখন ৯ শাবান ১৪৪৬ হিজরি মুতাবিক, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রোজ রবিবার, সময় রাত ৩:৫৭ মিনিট

বেলায়েত লাভের অন্যতম মৌসুম পবিত্র হজ

نحمده و نصلي علي رسوله الكريم اما بعد

হজের মৌসুম চলছে, বেলায়েত লাভের মৌসুম চলছে, আল্লাহ তাআলা যাদের তৌফিক দান করেছেন তারা আল্লাহ তা’আলার নেহায়াত ফজল ও করমে মক্কা মদীনাতে যাচ্ছেন এবং যাবেন, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কবুল করুন, কিন্তু এখানে একটি বিষয় আছে, সেটা হল আমরা কোথায় যাচ্ছি? আমরা যারা হজ্ব করতে যাচ্ছি তারা কার কাছে যাচ্ছি? মক্কা-মদিনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান সমুহ আরাফাহ মুজদালিফা এবং আশেপাশের যে সমস্ত মুকাদ্দাস এবং পবিত্র স্থান সমূহ, হজের মধ্যে যেগুলো বিষয় আছে, যা করা হজের করণীয়, একটা হল এগুলোর জিয়ারত করা, আর একটি হলো ঘর ওয়ালার জিয়ারত করা, আমরা যারা সাধারন মানুষ আছি তারা স্থানসমূহর জিয়ারত করে চলে আসি, কিন্তু আসলে আল্লাহওয়ালা যারা তারা কখনোই শুধু স্থানসমূহের জিয়ারক করে না, বরং স্থানসমূহের মালিকের জিয়ারত করে, আল্লাহওয়ালারা আল্লাহ তাআলার সাথে বিশেষ মুলাকাত করেন, আল্লাহ তাআলার সাথে বিশেষ তায়াল্লুক কায়েম করেন, বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন, নিসবতে বেলায়েত নিয়ে ফেরত আসেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ তাওয়াজ্জুহ নিয়ে ফেরত আসেন, যাদের মুখে দাড়ি থাকে না তারা দাড়ি রাখার হিম্মত পেয়ে যান এই তায়াল্লুক এবং সম্পর্কের বদৌলতে৷ ভাই হজ্ব শুধু নির্দিষ্ট স্থান সমূহের জিয়ারতের নাম নয়, হজ্ব হলো নির্দিষ্ট স্থান সমূহের মালিকের জিয়ারতের নাম, তার সাথে বিশেষ সম্পর্ক কায়েম করার নাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কদম মোবারক যে জমিনের উপর দিয়ে চলেছে, সেই জমিন সমূহের উপর আপনার পা পড়ছে, আল্লাহ তাআলার কত বড় নিয়ামত, আল্লাহ তাআলা আপনাকে কত ভালোবাসেন, এজন্য আমরা হজ্বে গিয়ে হজ্ব বহির্ভূত কোনো কাজ করবো না, আল্লাহ তা’আলা কুরআনে কারীমের মধ্যে ইরশাদ করেন فلا رفث ولا فسوق ولا جدال في الحج হজ্বে ঝগড়াঝাটি, মারামারি, গুনাহের কাজ নেই, হজ্বে সেলফি ধারন করা নেই, সেলফি ধারন করা মারাত্বক কবিরা গুনাহ, হজ্ব তো আশেক এবং মাশুকের মিলন মেলা, প্রেমিক প্রেমিকার মিলন মেলা, নিষ্পাপ হয়ে নিজের ঘরে ফেরার অন্যতম একটি আমল এবং ইবাদতের নাম হল হজ্ব, তো ভাই আমরা এই হজ্বকে গনীমত মনে করি, যাদের টাকা পয়সা আছে সাহস করেন, আর যাদের আলহামদুলিল্লাহ হজ্ব করার ব্যবস্থা হয়ে গেছে তারা বড় সতর্ক অবস্থার সাথে হজ্ব আদায় করি, আমাদের হজ্ব যেন শুধু স্থানের জিয়ারত না হয়, স্থান ওয়ালা, মুকাদ্দাস পবিত্র স্থানসমূহের মালিকের জিয়ারত হয়, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিশেষ সম্পর্ক কায়েম করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রুহানি তাওয়াজ্জুহ নিয়ে যেন ফিরতে পারি, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কবুল করুন, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হজ্জে মাকবুল এবং হজ্জে মাবরুর নসিব করুন, আমিন৷

Loading