বসুন্ধরা মাদ্রাসা তাখাসসুসের ভর্তি শুরু ৬ সেপ্টেম্বর ২১ ইং থেকে, জানুন বিশেষ নির্দেশনা!

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে আজ এক বিশেষ নোটিশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতদ্বারা মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকা-র ১৪৪৩ হিজরী শিক্ষাবর্ষে তাখাসসুসের সকলবিভাগের (تخصص في الفقه الاسلامی، تخصص في الحديث ، تخصص في الاقتصاد، تخصص في علوم القرآن، تخصص في القراءة والتجويد) ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানাে যাচ্ছে যে, তাওয়াক্কুলান আলাল্লাহ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সােমবার থেকে প্রথমবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এবং ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার হতে দ্বিতীয় বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রত্যেক বিভাগে মারকাযের নিয়ম অনুযায়ী কোটা ভিত্তিক ছাত্র ভর্তি করা হবে।

ভর্তিচ্ছুক সববিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই পালনীয় নীতিমালা

  • মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী অনন্য উচ্চতর ইসলামী গবেষণামূলক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে তালীমের পাশাপাশি তারবিয়্যাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করা হয়। সুতরাং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মারকাযের ধারাবাহিক নিয়মানুযায়ী নিম্নের নীতিমালা অবশ্য মেনে চলতে হবে।
  • ভর্তিচ্ছুক তালেবে ইলমকে অবশ্যই চিন্তাধারায় দেওবন্দী মতাদর্শে প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী হতে হবে।উন্নত চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে ইত্তেবায়ে সুন্নাতে রাসূল সা.-এর পাবন্দ হতে হবে।
  • পােশাক পরিচ্ছদ, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা, সাজসজ্জা ও দাড়ি চুল অবশ্যই সুন্নাত অনুযায়ী হতে হবে। মারকাযে নিয়মিত উপস্থিত থেকে দরস, মুতালাআ ও গবেষণামূলক কাজেই থাকতে হবে। মারকাযে অধ্যায়নরত অবস্থায় লেখা পড়া ব্যতীত অন্য কোনাে ধরনের কাজ তথা, টিউশনি, ব্যবসা-বানিজ্য, ইমামতি, মুআজ্জিনী ইত্যাদি সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ।
  • মারকাযের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পরিপন্থী ও আকাবিরীনের আদর্শবিরােধী অথবা মারকাজের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনাে কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা যাবে না। মারকাযের শিক্ষা বিভাগ, দারুল ইকামা ও অন্যান্য বিভাগের যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
  • মারকায়ে অধ্যয়ন কালে কোনাে ছাত্র রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না।
  • মারকাযের বাইরে গিয়ে মিছিল, মিটিং কিংবা সভা-সমাবেশ ও যে কোনাে ধরনের মাহফিলে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।
  • দেশের প্রচলিত আইন শৃংখলা ও সমাজ বিরােধী কোনাে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে পারবে না।
  • মারকাযের প্রশাসন ও সম্মানিত শিক্ষক কর্মচারীর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে। তাদের সাথে বেআদবী বা অশুভ আচরণ বহিষ্কারযােগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
  • মারকাযের ক্যাম্পাসে কম্পিউটার, লেপটপ, স্মার্ট ফোন, নরমাল মােবাইলসহ সকল প্রকার ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইস রাখা ও ব্যাবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • কারাে নিকট এগুলাে পাওয়া গেলে বহিষ্কারযােগ্য অবরাধ বলে বিবেচিত হবে।
  • ছাত্রদের জন্য সােস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার একটি ধ্বংসাত্মক কাজ। তাই সকল তালেবে ইলমকে তা পরিহার করতে হবে। বিশেষতঃ ফেইসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জারসহ যে কোনাে সােস্যাল মিডিয়ায় লেখা লেখি, বক্তব্য ও মন্তব্য করা থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিরত থাকতে হবে।
  • সকল ছাত্রদের ক্ষত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদ ও ছবি আনা আবশ্যক।
  • উল্লিখিত নীতিমালার কোনাে একটি অমান্য করা মারকায থেকে বহিষ্কারযােগ্য বলে বিবেচিত হবে।

নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য যা প্রয়ােজন

১. পূর্বের জামিয়া/মাদরাসা থেকে প্রত্যয়নপত্র আনতে হবে অথবা অভিভাবকের প্রত্যায়নপত্র ও তার জাতীয় পরিচয়ত্রসহ জমা দিতে হবে।

২. তাখাসসুস ফিল ফিকহ ও হাদীস-এ ভর্তির জন্য দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষায় মমতাজ / জায়্যিদ জিদ্দানে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বি.দ্র. মিশকাত শরীফ ও দাওরায়ে হাদীসের ভর্তিকার্যক্রমের তারিখ পরবর্তিতে জানানাে হবে।

মুফতী আরশাদ রহমানীমুহতামিম, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ

Loading