আল্লামা শফি রহ. এর দেওবন্দ এ পড়াশুনা হয়েছিল মুফতি সাহেবের হিম্মত আর মেহনতের উসিলায়। নানুপুরের শাইখুল হাদীস রহ. বলেন আবদুর রহমান হুজুর কিছু ছেলেদের দেওবন্দ নিয়ে যাবেন কথা হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে সবাই এলে সাবার হাতে টিকেট বুঝিয়ে দেন। একটা ছেলে যে আগে বলেছিল যাবে – সে অস্বীকৃতি জানায়। খোজ নিয়ে দেখা গেল তার টাকার সমস্যা। মুফতি সাব তখন যাবতিয় খরচ নিজের জিম্মায় নিয়ে তাকে সাথে করে নিয়ে গেলেন। দিনের বেলা পড়ালিখা আর রাতে প্রেসে কাজ করে অপরের খরচের টাকা যুগিয়েছেন। সেই ছেলে পরবর্তী কালের আল্লামা শফি রহ।
দেওবন্দে থাকার সময় তিন বছর দেওবন্দের মসজিদের ইমামতি করেছেন। এরপর পটিয়ায় ও ইমামতি করেছেন।
উনার বড় ভাই মাওলানা ওবায়দুর রহমান রহ. হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ এর খলিফা ছিলেন। মুফতি আব্দুর রহমান সাহেবের ছেলে আরশাদ রহমানী রবং জামাতা কাসেম সাহেব উভয়ই হারদুই হুজুরের খলিফা। মুহিবুল্লাহ বাবুনগরি বিয়াই। উনি জুনায়েদ বাবুনগরীর খালু। নানুপরের পীর সাহের নাতিন এর মাধ্যমেও নাতি পর্যায়ে আত্মীয়তা রয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দে যে বছর ইফতার তাখাসসুস শুরু হয়, তিনি সে বছরের ছাত্র। ( কেউ বলেছেন বাংলাদেশের ছাত্রদের মাঝে তিনি সবার আগে দেওবন্দে ইফতা পড়েছেন, আল্লাহু আয়লাম) ১৯৬৫/৬৭ এর দিকে বাংলাদেশে উনি প্রথম ফিকাহের তাকগাসসুস শুরু করেন পটিয়াতে। ১৯৯৫ বসুন্ধরাতে উলুমুল হাদীস শুরু করেন, যেটা বাংলাদেশে প্রথম। আর একতেসাদের উপর তাখাসসুস ও তিনিই প্রথম চালু করেন আমাদের দেশে।
উনি দুয়া করেছিলেন ইমাম আবু হানিফার মত ৫৮/৬০ বার হজে যাবার। ইন্তেকালের অনেক বছর আগেই মুফতি মাহমুদুল হক চকোরিয়া হুজুর লিখেছেন ৪২ বারের কথা। হুজুর গুনতেন না। হজ উওমরার সফর মিলিয়ে ৬০ এর বেশি হওয়ার কথা।
তাবলীগে ৯ চিল্লা দিয়েছেন ( ১ সাল ) আর শায়খ জাকারিয়ার খানকায় দীর্ধ সময় কাটিয়েছেন। সম্ভবত ৮০ দিন। শায়খ জাকারিয়ার বিশেষ সোহবত ও তরবিয়ত পেয়েছেন। সব মুরীদরা দুরে জিকির করত, তলহা সাহেব আর আব্দুর রহমান সাহেব এই দুইজন শায়েখের কাছে বসে উচ্চস্বরে ১২ হাজার বার ইসমে জাতের জিকির চকিতে বসে করতেন।
ঢাকা শহরে কোন জমি ফ্ল্যাট করেন নাই। ব্যংক একাউন্টে যা টাকা ছিল তা ওসিয়ত করে সদকা করে যান, গাড়িও ছিলনা মৃত্যুর সময়। বেতন নিতেন না বসুন্ধরা থেকে, কোন মাহফিলে গেলে হাদিয়ার নামে বা পথ খরচাও নিতেন না। নিজ খরচায় সারা দেশ বিদেশ দৌড়াতেন।