نحمدہ و نصلي علي رسوله الکریم اما بعد
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, কিন্তু এই খুশি এবং আনন্দ কিভাবে আসবে সেটা আমরা অবলম্বন করি না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ও আদর্শ ছেড়ে আমরা ইহুদি-নাসারাদের অপসংস্কৃতির মধ্যে ডুবে আছি ঈদের দিনেও, অথচ এই ঈদ হল আল্লাহ তাআলার প্রকৃত বান্দাদের জন্য আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত পাওয়ার দিন, দুনিয়ার যেকোন কাজ যেটা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে, যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত এর অনুসরণে না হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে সেটার কোন মূল্য নেই, এজন্য আমাদের ভাষায় আমরা রোজার ঈদ বলি, ঈদের দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু সুন্নত রয়েছে, নিচে সেগুলো দেয়া হল৷
ঈদুুল ফিতরের সুন্নাতসমূহ
(১) অন্য দিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বাইহাকী, হাঃ নং ৬১২৬)
(২) মিসওয়াক করা। (তাবঈনুল হাকাইক, ১ : ৫৩৮)
(৩) গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ১৩১৫)
(৪) শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। (বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৪৮)
(৫) সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। (বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৪৮/ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাঃ নং ৭৫৬০)
(৬) সুগন্ধি ব্যবহার করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম হাঃ নং ৭৫৬০)
(৭) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় যেমন (খেজুর ইত্যাদি) খাওয়া। (বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৫৩/ তিরমিযী শরীফ, হাঃ নং ৫৪২/ দারেমী হাঃ নং ১৬০৩)
(৮) সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাঃ নং ১১৫৭)
(৯) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে ছাদাকায়ে ফিতর আদায় করা। (দারাকুতনী, হাঃ নং ১৬৯৪)
(১০) ঈদের নামায ইদগাহে আদায় করা, বিনা অপারগতায় মসজিদে আদায় না করা। (বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৫৬/ আবু দাউদ হাঃ নং ১১৫৮)
(১১) যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৮৬)
(১২) পায় হেঁটে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাঃ নং ১১৪৩)
(১৩) ঈদগাহে যাতায়াতের সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকা-
الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد
(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাঃ নং ১১০৫/ বাইহাকী, হাঃ নং ৬১৩০)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন৷