Rahmania Madrasah Sirajganj

আরবী তারিখঃ এখন ১ রমজান ১৪৪৪ হিজরি, ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার রাত ৮:৪৮ মিনিট (প্রতিদিন মাগরিবের পর তারিখ পরিবর্তন হয়)

দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা হাবিবুর রহমান আ’জমী রহঃ এর সংক্ষিপ্ত জিবনী

দারুল উলূম দেওবন্দের উস্তাদে হাদিস ও মাহনামায়ে দারুল উলূম দেওবন্দের মুদীর ইবনে হাজারে ছানী উস্তাদে মুহতরম মাওলানা হাবিবুর রহমান আ’জমী রহঃ’র সংক্ষিপ্ত জিবনী।

■নাম ও নসবঃ
নাম হাবিবুর রহমান,পিতা হাফিজ আনোয়ারুল হক।

■জন্মঃ
উস্তাদে মুহতরম,আ’জম গড়হ জেলার জগদীশপুর গ্রামে ১৩৬২ হিজরী/১৯৪২ ইংরেজিতে এক ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

■শিক্ষা জীবনঃ
উস্তাদে মুহতরম,আরবী জামাতগুলো মাদ্রাসাতুল ইসলাহ সিরায়মীর মাতলাউল উলূম বানারস ও দারুল উলূম মেওয়াতে শিক্ষা করেন।
অতঃপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৩৮২ হিজরী/১৯৬২ ইংরেজিতে দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন এবং দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।

■কর্ম জীবনঃ
উস্তাদে মুহতরম,১৯৬৫ ইংরেজিতে জামেয়া ইসলামিয়া বানারসে উস্তাদ নিয়োজিত হন।
অতঃপর ১৯৮০ ইংরেজিতে ফুযালায়ে দারুল উলূম দেওবন্দের আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনের আহ্বানে দেওবন্দে আসেন এবং আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনের ব্যবস্থাপনা ও মাসিক আল-ক্বাসিম অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমূহ সম্পাদনা করেন।
অতঃপর ১৯৮২ ইংরেজিতে দারুল উলূম দেওবন্দের উস্তাদ নিয়োজিত হন।
পরবর্তীতে ১৪০৫ হিজরীর সফর মাসে উস্তাদে মুহতরমকে মাহনামায়ে দারুল উলূম দেওবন্দের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তাছাড়া উস্তাদে মুহতরম ১৪২০ হিজরীতে রদ্দে ঈসায়িত কমিটির মহাসচিব নিয়োজিত হন।

■দরস ও তাদরিসঃ
উস্তাদে মুহতরমের দারুল উলূম দেওবন্দে মুসলিম শরীফ,আবু দাউদ শরীফ, মিশকাতুল মাসাবীহ ইত্যাদি কিতাবাদির দরস দিয়েছেন।
উস্তাদে মুহতরমের দরস ছিল প্রশংসনীয়।

■তাসনিফাত ও তা’লিকাতঃ
উস্তাদে মুহতরম তাদরিসের সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় অর্ধশত কিতাবাদী তাসনিফ ও তা’লিক করেন।
যেমনঃ
▪মাক্বালাতে হাবিব ৩খণ্ডে।
▪শরহে নুযহাতুল খাওয়াতির।
▪শরহে মুক্বাদ্দিমায়ে শায়খ আব্দুল হক রহঃ।
▪শুয়োখুল ইমাম আবু দাউদ সিজিস্তানী আরবী।
▪তাযকিরায়ে উলামায়ে আ’জমগড়হ।
▪আজুদিয়া কে ইসলামী আছার।
▪এক ফতোয়া কা তাহকিকী জা’ইযাহ।
▪ইসলাম কা নেযামে ইবাদত।
▪ইসলাম আওর নফক্বায়ে মুতাল্লাক্বাহ।
▪বাবরী মসজিদ হাক্বাইক আওর আফসানে।
▪ফিরক্বায়ে ইসনায়ে আশআরিয়াহ ফুক্বহায়ে ইসলাম কি নযর মে।
▪তালাক্বে ছালাছাহ সহীহ মাখায কি রওশনী মে।
▪খাওয়াতিনে ইসলাম কি বেহতরিন মসজিদ।
▪মাসআলায়ে রফয়ে ইয়াদাই কি তাহক্বিক।
▪ইমাম আবু হানিফা কা ইলমে হাদীস মে মাক্বাম ও মরতবাহ।
▪ইমাম আবু দাউদ আওর উনকি সুনান।
▪শাজারায়ে তায়্যিবাহ(শায়খ তায়্যিব বানারসী রহঃ কে হালাত)।
▪মাক্বামে মাহমুদ(শায়খুল হিন্দ সেমিনার কে মাক্বালাত কা মজমুআহ)
▪ইসলাম মে তাসাওউরে আমানত।
▪হিন্দুস্তান মে ইমারতে শরইয়্যাহ কা নেযাম আওর জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ কি জিদ্ ও জিহাদ।
▪মুত্তাহিদাহ কওমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কি নযর মে।
▪খমিনিয়ত আছরে হাযির কা আযীম ফিতনা।
▪খলিফা মাহদী সহীহ আহাদীস কি রওশনী মে।
▪ইমাম কে পিচ্ছে মুক্বতাদি কে কেরাত কা হুকুম।
▪মাসাইলে নামায।
▪ওয়াফিয়াত নাম্বার মাহনামায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ।
▪তাফসিরে সুরায়ে বাক্বারাহ।
▪শীয়িয়ত কোরআন ও হাদীস কি রওশনী মে।
▪হুরমতে মুসাহারাত।
নুরুল ক্বামার ফি তাওযিহে নুযহাতুন নুযার শরহে নুখবাতুল ফিকার।
▪নক্বদ ও নযর।
▪হুজ্জিয়ত হাদীস আওর হাদীস পর আমল কি ছুরতে ইত্যাদি।

■সন্তানাদিঃ
উস্তাদ মুহতরমের দুই ছেলে দুই মেয়ে।

সিয়াসতঃ
উস্তাদে মুহতরম জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

■বায়াত ও খিলাফতঃ
উস্তাদে মুহতরম প্রথমে বায়াত হন শায়খুল হাদীস জাকারিয়া কান্দলভী রহঃ’র কাছে পরবর্তীতে মাওলানা মাহমুদ পটীর সাহারানপুরী রহঃ থেকে ইযাযত প্রাপ্ত হন যিনি শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহঃ’র খলিফা ছিলেন।

■ইন্তেকালঃ
উস্তাদে মুহতরম ৩০সে রমজান ১৪৪২ হিজরী/৩০সে বৈশাখ ১৪২৭ বাংলা/১৩ই মে ২০২১ ইংরেজি রোজ বৃহস্পতিবার নিজ জন্মস্থান আজমগড়হের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এবং নিজ গ্রাম জগদীশপুরেই হযরতকে দাফন করা হয়।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা’জিউন!

মৃত্যুর সময় উস্তাদে মুহতরমের বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর।

সূত্র: আংশিক সংগ্রহ,জা’মে ও মুখতছর তারিখ দারুল উলূম দেওবন্দ,পৃষ্ঠা:৬৯৮
(এছাড়া অধম দারুল উলূম দেওবন্দে পড়াকালিন সময়ে সমস্ত আসাতিযায়ে কেরামের সংক্ষিপ্ত জিবনী সংগ্রহ করেছি)

●বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
অধম ১৪৩৮-১৪৩৯ হিজরী/২০১৭-২০১৮ ইংরেজিতে উস্তাদে মুহতরমের কাছে মুসলিম শরীফ পূর্ণ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
উস্তাদে মুহতরম বিশেষ করে হাদিসের রাওয়ীদেরকে নিয়ে এমন তাত্ত্বিক ও বিস্তারিত আলোচনা করেন যার ফলে উস্তাদে মুহতরমকে ইবনে হাজারে ছানী উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

আল্লাহ তা’আলা উস্তাদে মুহতরমের সমস্ত দ্বীনি খিদমাত কবুল করুন এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ মাক্বাম দান করুন।
আমীন!

পড়েছেনঃ 190 জন