১. জন্মের পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিবে মৃদু আওয়াজে। দেখুনঃ শুয়াবুল ঈমানঃ ৮৬১৯, মুসনাদে আবী ইয়ালাঃ ৬৭৮০
২. শিশুকে প্রথম দুধ পান করানোর আগে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নিয়ে সামান্য খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দিবে। খেজুর সম্ভব না হলে অন্য কোনো মিষ্টি দ্রব্য দিয়ে তাহনিক করা। দেখুনঃ সহীহ মুসলিমঃ ৫৭৩৯, শরহে মুহাজ্জাঃ ৮/৪২৪
৩. বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে গোসল দেয়া আবশ্যক নয়। তবে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলে ময়লাসহ রাখা উচিত নয়। কারণ ময়লা ও নাপাক ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না। দেখুনঃ সুনানে তাবারানিঃ ১২০১৭
৪. জন্মের সপ্তম দিনে মাথার চুল ফেলে, চুল পরিমাপ করে, সে ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপা বা তার মূল্য দান করা।
দেখুনঃ সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৪০, মুয়াত্তা মালিকঃ ১৮৩৯, শুয়াবুল ঈমানঃ ৮২৬২
৫. ছেলে হলে আকীকায় দুইটি বকরী বা ভেড়া আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা ভেড়া জবাই করা। দেখুনঃ সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৩৬
৬. অথবা কোরবানীর গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ এবং মেয়ের জন্য এক অংশ লইবে। দেখুনঃ সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৩৬
৭. সামর্থ না থাকিলে ছেলের পক্ষ হইতে একটি বকরী আকীকা করাও জায়েজ। আকীকা না করলেও কোন অপরাধ হবে না।
দেখুনঃ বাদায়েউস সানায়েঃ ৪/২০৯
৮. জন্মের সপ্তম দিবসে আকীকা করা ও সন্তানের সুন্দর নামও রাখা মুস্তাহাব। দেখুনঃ সহীহ মুসলিমঃ ৫৭৩৯, সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৪০
৯. যদি সপ্তম দিবসে সম্ভব না হয় তবে যেই বারে সন্তান জন্ম হইয়াছে উহার আগের দিন করা। যেমন শুক্রবারে সন্তান হয়ে থাকলে বৃহস্পতিবারে আকীকা করা। মোট কথা, হিসাব করে সপ্তম দিবস ঠিক রাখতে চেষ্টা করা।
দেখুনঃ মুসনাদে ইসহাক বিন রাহহুয়াঃ ১২৯২
১০. যেই প্রাণী দ্বারা কুরবানী দুরস্ত না উহা দ্বারা আকীকাও দুরস্ত না। যেই প্রানীর কুরবানী দুরস্ত উহা দ্বারা আকীকাও দুরস্ত হবে।
দেখুনঃ সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৩৬
১১. আকীকার গোস্ত কাচাঁ হাদিয়া দেয়া, কিংবা রান্না করিয়া ভাগ করে দেয়া বা দাওয়াত করে খাওয়ানো সবই জায়েজ। আকীকার গোশত নিজেসহ সকলেই খেতে পারে। দেখুনঃ মুসনাদে ইসহাক বিন রাহহুয়াঃ ১২৯২
১২. আকিকার প্রাণী যবাহ করার দুআঃ দেখুনঃ তানকিহুল হামিদিয়াহঃ ২/২৩৩
اَللّٰهُمَّ هٰذِهٖ عَقِيْقَةُ اِبْنِىْ …… دَمُهَا بِدَمِهٖ وَلَحْمُهَا بِلَحْمِهٖ وَعَظْمُهَا بِعَظْمِهٖ وَجِلْدُهَا بِجِلْدِهٖ وَشَعْرُهَا بِشَعْرِهٖ ـ اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ حَنِيْفًا وَّمَا اَنَا مِنَ الْمُشْرِ كِيْنَ اِنَّ صَلٰوتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ لَاشَرِيْكَ لَهٗ وَبِذٰلِكَ اُمِرْتُ وَاَنَا اَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ اَللّٰهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرْ
যদি মেয়ে হয় তাহলে اِبْنِىْ (ইবনী) এর স্থলে بِنْتِىْ (বিনতী) বলে মেয়ের নাম বলা এবং প্রত্যেক هٖ (হী)- এর স্থলে هَا (হা) বলা।
১৩. আক্বিকা দেয়া জরুরী কোন বিষয় নয়, বরং মুস্তাহাব। দেখুনঃ সহীহ মুসলিমঃ ৫৭৩৯, সুনানে আবু দাউদঃ ২৮৪০