পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ আমরা ভারতের গোলামী করার জন্য করিনাই।
ভারত সব সময় মুখে বলেছে প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সবার আগে তাদের কাছে গুরুত্ব পায় বাংলাদেশ কিন্তু কাগজে কলমে কিছুই হয়না ।
৫০ বছরের ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দেনা-পাওনার হিসেবে বড় অর্জন সমুদ্রসীমা ও স্থল সীমান্ত চুক্তি। তবে এখনও তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এগুনো যায়নি। বাণিজ্য বৈষম্যেও কমেনি দূরত্ব। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে পাশে পাওয়ার বিষয়টিও প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
একই অবস্থা সীমান্তে। দীর্ঘ ৪ দশক ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানির লাশ অনেক অর্জনকেই রক্তাক্ত করেছে। দিনের পর দিন আশ্বাস আসছে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় যাওয়াতো দূরের কথা, প্রতিবছর গড়ে মারা যাচ্ছেন ৫০ জন। যুদ্ধহীন দিনে পৃথিবীর আর কোন সীমান্তে ঝরে না এত প্রাণ।
বাণিজ্যেও নানা বৈষম্য। ভারতকে দেয়া ট্রানশিপমেন্ট থেকে উত্তর পূর্ব ভারত লাভবান হচ্ছে। সে তুলনায় এখনো খুলেনি বাংলাদেশের জন্য বড় আকারের বাজার। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিপাকে পড়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের যতটা সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলো, সে তুলনায় প্রাপ্তি ঘটেছে কম। সব কিছু বিবেচনায় তাই দেনা পাওনার হিসেবে এখন অনেক বেশি কৌশলী বাংলাদেশ। সুসম্পর্কের যে বাতাবরণ, তাতে বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, কথা ছিলো আরও বেশি পাওয়ার।
পড়েছেনঃ 820 জন