জামেয়া ইউনুসিয়া মাদরাসার মাহফিলে বয়ান করছেন মাওলানা মাহমুদ মাদানী। এমন সময় মঞ্চে উঠলেন মুফতি আমিনী রহ.। সাথেসাথেই শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাহফিল ময়দান। মাহমুদ মাদানীও মুফতি আমিনী রহ. কে দেখামাত্রই চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে উনার সাথে মোসাফাহা ও মোয়ানাকা করেন।
এমন সময় মাহমুদ মাদানী সাহেবের সাথে থাকা আরেক দরবারী আলেম সুযোগ বুঝে মুফতি আমিনী সাহেবের সাথে মোসাফাহার জন্য হাত বাড়ায়। সাথে সাথে মুফতি আমিনী রহ. হাতটা ফিরিয়ে নিয়ে বললেন “আমি কোন ফাত্তানের সাথে হাত মিলাই না”।
ভরা মজলিশে এমন কড়া জবাব শুনে ঐ ফাত্তান আলেম সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিরূপায় হয়ে এদিকওদিক তাকিয়ে স্টেজ থেকে নিচে নেমে পড়ে। সেদিন মুফতী আমিনী যেই দরবারীর সাথে মোসাফাহা করেননি তিনিই পরবর্তী সময়ের শাহবাগী হুজুর। শাহবাগের “ইসলামীকরণ” করে দরবারের পদন্নোতি হওয়ায় যে আজ দেশের সকল ওলামাদের বিপক্ষে লড়াই করে যাচ্ছে।
এমনকি সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব, যাকে কোন মহলের কেউই আজ পর্যন্ত বিতর্কে জড়াতে সাহস করেনি, সুদূরপ্রসারী ইলমি খেদমতের কারণে যিনি ওলামা-তলাবাদের আস্থার চূড়ায় অবস্থান করছেন, উনার মত একজন ব্যক্তিত্বকে কটাক্ষ করা থেকেও বিরত থাকতে পারলো না এই দরবারী।
সেদিন আমিনী সাহেব কেন এই দরবারীর সাথে মোসাফাহা না করে হাত ফিরিয়ে নিয়েছিলেন আজ সকলেই তা বুঝতে পারছে। আগামীকাল ১২-১২-১৮। মুফতি আমিনী রহ. এর ইন্তেকালের ছয়টি বছর পেরিয়ে গেল। আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুক সেই দোয়াই করি।