Rahmania Madrasah Sirajganj

আরবী তারিখঃ এখন ৩ রমজান ১৪৪৪ হিজরি, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার দুপুর ১২:২২ মিনিট (প্রতিদিন মাগরিবের পর তারিখ পরিবর্তন হয়)

আব্বাসি খলিফা (বাদশা হারুনুর রশিদের বাবা) মাহদির দ্বিতীয় বিয়ে করা আর হলো না

আব্বাসি খলিফা মাহদির হঠাত আরেকটা বিয়ের শখ জাগল। চাইলেই তিনি করতে পারেন। খলিফা বলে কথা। তবুও মহারাণী খায়যারানকে একবার জানানো দরকার মনে করলেন। তিনি বললেন,-উম্মে রশিদ!-জী!-আমি আরেকটা বিয়ে করতে চাই।-আমার পর আর কাউকে বিয়ে করা আপনার জন্য জায়েজ নয়।-কেন নয়; অবশ্যই।-প্রয়োজনে কোনো আলেমকে বিচারক মানতে পারো।-সুফিয়ান সাওরিকে মানলে হবে?-হ্যাঁ। খলিফা মাহদি লোক পাঠালেন ইমাম সুফিয়ান সাওরির কাছে। খবর পেয়ে সুফিয়ান সাওরি এসে হাজির হলেন খলিফার দরবারে। খলিফা বললেন, উম্মে রশিদ মনে করেন, তাকে ব্যতীত আর কাউকে বিয়ে করা আমার জন্য জায়েজ নয়। অথচ, আল্লাহ তাআলা বলেছেন : فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع অর্থাৎ- নারীদের মধ্যে যাদেরকে তোমাদের ভালো লাগে, তাদের দুই, তিন, চারজনকে তোমরা বিয়ে করো। আয়াতের এতটুকু পর্যন্ত বলে থেমে গেলেন; আর পড়লেন না। সুফিয়ান সাওরি বললেন, আয়াতটি পুরা করুন! কিন্তু খলিফা মাহদি বাকিটুকু পড়তে নারাজ। সুফিয়ান সাওরি নিজেই পড়লেন : فإن خفتم أن لا تعدلوا فواحدة। অর্থাৎ- যদি তোমরা ভয় করো যে, অধিক বিয়ে করলে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে একটাই যথেষ্ট।এরপর খলিফা মাহদিকে লক্ষ করে সুফিয়ান সাওরি বললেন, আপনি ইনসাফ রক্ষা করতে পারবেন না। সুতরাং আপনার জন্য উম্মে রশিদ থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা জায়েজ নেই। বড় বিপাকে পড়লেন খলিফা। মনে করেছিলেন, সুফিয়ান সাওরির মতো বড় আলেম তার পক্ষে ফতোয়া দেবেন, কিন্তু ঘটনা মোড় নিল উল্টোদিকে; তিনি উম্মে রশিদের কথামতোই ফতোয়া দিলেন। শেষমেশ ইমাম সুফিয়ান সাওরিকে দশ হাজার রোপ্যমুদ্রা হাদিয়া দেওয়ার আদেশ করলেন খলিফা। কিন্তু মুখের ওপর সেটাকে প্রত্যাখ্যান করে, রাজদরবার ছেড়ে ফিরে এলেন ইমাম সুফিয়ান সাওরি।

সূত্র : ওয়াফায়াতুল আইয়ান : ২/৩৮৯, ইমাম ইবনে খাল্লিকান।

পড়েছেনঃ 190 জন